Home / লাইফস্টাইল / চাকুরী প্রসঙ্গ: ইন্টারভিউ বোর্ডে করণীয়
চাকুরী প্রসঙ্গ: ইন্টারভিউ বোর্ডে করণীয়

চাকুরী প্রসঙ্গ: ইন্টারভিউ বোর্ডে করণীয়

চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক:

প্রথমে সময় সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। যে সময় ইন্টারভিউ কল করা হয়েছে তার অন্তত ১৫ মিনিট আগে পৌঁছে যান। হ ঘরে ঢুকে ইন্টারভিউ কর্তাদের সালাম দিয়ে নির্দিষ্ট আসনে বসুন। পোশাক সব সময় ফরমাল হবে। মহিলারা সালোয়ার কামিজ পরতে পারেন। তবে সাদা সালোয়ার কামিজ বা কোট, প্যান্ট, টাই পরা বাধ্যতামূলক নয়। তবে কোন পেশার জন্য ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন, সেটা খেয়াল রাখবেন। কিছু চাকরি যেমনÑ সেলস, হসপিটালিটি ইত্যাদির ক্ষেত্রে পুরো ফরমাল পোশাক পরাই ভালো। হ একটা প্রশ্নের উত্তর শেষ করে তবে দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবেন। হ সোজাসুজি চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন। হ ঘরে ঢুকে সময় অনুযায়ী ‘গুড মর্নিং বা গুড আফটারনুন’ বলুন। হ চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। হ সিভি বা বায়োডাটা, সার্টিফিকেটগুলো গুছিয়ে রাখুন; যাতে প্রয়োজনে পরপর দেখাতে পারেন। হ কী বলবেন সেটা ভেবে নিন। মন স্থির রাখুন। প্রত্যেককে সম্মান দিয়ে কথা বলুন। হ ইন্টারভিউয়ের শেষে প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়ে ঘর থেকে বেরুবেন। যা করা উচিত নয় হ কোনোভাবেই আপনার আচরণে যেন ঔদ্ধত্য প্রকাশ না পায়। হ মাথা নিচু করে কথা বলবেন না। একপেশে হয়ে চেয়ারে বসবেন না। হ প্রশ্ন শুনে আমতা আমতা করবেন না। যে প্রশ্নের উত্তর জানেন না, সেটা স্পষ্ট জানিয়ে দিন। হ মনে রাখবেন ইন্টারভিউ বোর্ডে যারা আছেন, তাদের অভিজ্ঞতা আপনার চেয়ে অনেক বেশি কাজেই এমন আচরণ করবেন না যাতে তাদের সম্মানহানি ঘটে। হ অনেকে খুব বেশি ফরমাল থাকতে এত বেশি আড়ষ্ট হয়ে পড়েন, যাতে স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তা বলতে পারেন না। অনেক সময় দেখা যায় ইন্টারভিউয়ে প্রশ্নকর্তার মুখোমুখি হয়ে অজানা প্রশ্নও জানার ভান করেন। এতে কিন্তু সেই ব্যক্তির সিলেকশন লিস্ট থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকে। হ প্রথম ইম্প্রেশনটা ভালো হওয়া খুব জরুরি। আপনি যে রকম, সেই স্বাভাবিকতা বজায় রাখা উচিত তা হলে ইন্টারভিউ বোর্ডে ছন্দপতনের ভয় থাকবে না। হ আপনার পোশাক, সাজগোজ সব কিছুই আপনার ব্যক্তিত্ব ও রুচিকে ফুটিয়ে তুলবে। তাই সে কথা মাথায় রেখেই পোশাক পরবেন।