চাঁদপুর

চাঁদপুর শহরে ঘুড়ি বানিয়ে সবার মন কেড়েছে মান্নান গাজী

সময়ের সাথে সাথে ঘুড়ি উড়ানোর সময়গুলো বিলুপ্ত হওয়ার পথে ছিলো। বর্তমান করোনাভাইরাসের কারনে সেই সোনালী পুরনো দিনগুলো ফিরে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দি শিশু ও যুবক থেকে শুরু করে সব বয়ষের মানুষ এখন ঘুড়ি উড়ানোর প্রেমে পড়ে গেছে। আর এতে করে ব্যস্ততম সময় পার করছেন ঘুড়ি তৈরির কারিগর মান্নান গাজী। পেশায় তিনি একজন রং মিস্ত্রি। মান্নান চাঁদপুর শহরের নাজির পাড়া দেওয়ান বাড়ির বাসিন্দা।

করোনা পরিস্থিতিতে ঘুড়ি বানিয়ে সব বয়সি মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। তাই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শত শত মানুষ তার কাছে ভিড় জমায়।

অন্যবছর থেকে এই বছরের সময়টা ভিন্নভারে ধরা দিয়েছে। মহামারী ভুলে থাকতে ঘুড়ি উড়িয়েই যেন সুন্দর একটা দিনের প্রার্থনা উড়িয়ে দিচ্ছে মানুষের আকাশজুড়ে। ছোট-বড় অনেকেই পারিবারিকভাবে এখন বিকেলটা বাড়ি ছাদেই কাটান। বাবা-কাকার সঙ্গে বাড়ির ছোটরাও ঘুড়ি উড়াতে যোগ দিচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে নাটাই,সুতা আর ঘুড়ি বিক্রি বেড়ে গেছে কয়েক গুণ।

চাঁদপুর শহরের স্টেডিয়াম-বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোডের যুবকরা জানান,পরিবার থেকে করোনা সময়ে বাইরে বের হতে দেয়নি। তাই বাড়ির ছাদেই ঘুড়ি উড়িয়ে সময় পার করছি। শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুড়ি বিক্রি করলেও আমরা মান্নান ভাইয়ের কাছ থেকে ঘুড়ি কিনি। তার হাতে জাদু আছে। তার বানানো ঘুড়ি খুব সুন্দর উড়ে। মান্নান ভাইয়ের ঘুড়ির জন্য অগ্রিম বলে রাখতে হয়। এছাড়া দামও কম। তাই তার ঘুড়ি জনপ্রিয়।

এ বিষয়ে ঘুড়ি বানানো কারিগর মান্নান গাজী বলেন, উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়ে এবং ছোট বাচ্চাদের কাছে আমার ঘুড়ির চাহিদা বেশ ভালো। এজন্য প্রতিদিন শতাধিক ঘুড়ি বিক্রি করি। সময় কম থাকার কারনে তেমন ঘুড়ি তৈরি করতে পারি না। প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বের বিক্রি করতে পারছি না। প্রতিদিনন শত শত যুবক ঘুড়ির জন্য আসে। ঘুড়ি তৈরি খরচ বেড়েছে । কিন্তু আমি দাম বাড়াইনি। ১০ টাকা করে প্রতিপিস ঘুড়ি বিক্রি করছি।

আর অন্য ব্যবাসায়ীদের কাছ ৮ টাকা করে বিক্রি করি। তবে আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে, যখন সবাই ভালোবেসে আমার কাছে ঘুড়ি কিনতে আসে।

প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম,১৩ জুলাই ২০২০

Share