আরব যুগের সময় আরবরা পাথরকে মূর্তি বানিয়ে পূজা করত, যা শিরক! আর এখন আমরা আল্লাহ’র কাছে সরাসরি চাইতে লজ্জাবোধ করি তাই মৃত ব্যাক্তির কবরকে চারপাশ ঘেরা আবদ্ধ রুমে মর্তিরূপ মাজার বানিয়ে ফুল দিয়ে পূজা করছি, সিজদা দেই, কবর ধরে চুমু খাই, মোম প্রজ্জলিত করে মানত করি, রিযিক খুঁজি, বিপদ থেকে মুক্তি চাই।
এখন বলুন তখনকার শিরক আর এখনকার শিরকের মধ্যে পার্থক্যটা কি? আল্লাহ আমাদের মাফ করুন, আল্লাহ শিরিক কর্ম কোন অবস্থায় বরদাশত করবেন না, শিরককারীর কোন আমল গ্রহণ করা হবে না ।
আমরা যে সমস্ত বুজুর্গ, দীন প্রচারকদের কবরকে শিরিকে রূপ দিচ্ছি কাল কিয়ামতের ময়্দানে আমাদের এমন শিরিক কর্মের কারণে উনারাই আমাদের বিপক্ষে সাক্ষী দিবেন। কারণ উনারা আমাদের এইরুপ কর্ম করতে বলে যাননি, এইগুলো সব আমাদেরই সৃষ্টি । যারা এরূপ করছেন এবং করতে বলে যাচ্ছেন আমাদের সেইসব ভন্ডদের বিরুদ্ধে সহিহ ইসলামি শিক্ষা প্রচারের মাধ্যমে জনমত গড়ে তোলে তাদের প্রতিহত করতে হবে ।
আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুন । সুতারাং যে আল্লাহ আমাদের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করছেন আমাদের একমাত্র তার কাছেই নতজানু হয়ে সরাসরি চাইতে হবে এবং রাসুল(স) আদর্শ অনুসরন করে কামেল আলেম , সত্য সাদিকদের থেকে দীনি জ্ঞান অর্জন করে আল্লাহ’র সন্তুষ্টি মোতাবেক জীবন পরিচালিত করতে হবে । মনে রাখতে হবে যে জেনেশুনে দীনের নিষেধ মেনে নিল না , সে যেন ইচ্ছাকৃতভাবেই ইসলাম থেকে দূরে সরে গেল ।
কবর-মাজার পুজা প্রসঙ্গ:
আল্লাহ ছাড়া কাউকে সেজদা করা সুষ্পষ্ট হারাম। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “সাবধান ! তোমাদের পূর্বের যুগের লোকেরা তাদের নবী ও নেককার লোকদের কবর সমূহ মসজিদ (সিজদার স্থান) হিসেবে গন্য করতো। তবে তোমরা কিন্তু কবর সমূহকে সিজদার স্থান বানাবে না। আমি এরূপ করতে তোমাদের নিষেধ করে যাচ্ছি” । [মুসলিম, ১০৭৭] রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরও বলেন,
“তোমরা স্বীয় ঘরকে কবর বানিয়োনা। (অর্থাৎ কবরের ন্যায় ইবাদত-নামায, তেলাওয়াত ও যিকির ইত্যাদি বিহীন করনা।) এবং আমার কবরে উৎসব করোনা।(অর্থাৎ বার্ষিক, মাসিক বা সাপ্তাহিক কোন আসরের আয়োজন করনা। তবে হ্যাঁ আমার উপর দুরূদ পাঠ কর। নিশ্চয় তোমরা যেখানেই থাক না কেন তোমাদের দুরূদ আমার নিকট পৌঁছে থাকে।(আল্লাহ তায়ালার ফেরেশতারা পৌঁছিয়ে দেন।)” (সুনানে আবু দাউদ: হাদিস নং-২০৪৪/৪০)
কবরের সামনে বাতি প্রজ্জ্বলন করাকে হারাম সাব্যস্ত করে রাসূলে কারীম সাঃ ইরশাদ করেন- “হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত যে,
আল্লাহর নবী সাঃ অভিশম্পাত করেছেন (বেপর্দা) কবর যিয়ারতকারীনী মহিলাদের উপর, এবং সেসব লোকদের উপর যারা কবরকে মসজিদ বানায়
(কবরকে সেজদা করে) এবং সেখানে বাতি প্রজ্জ্বলিত করে। (জামি তিরমীযী-২/১৩৬) আল্লাহ কুরানে বলেন , “তারা আল্লাহ ব্যতীত তাদের পন্ডিত ও
দরবেশগণকে তাদের রব হিসেবে গ্রহণ করেছে৷” (সূরা তওবাঃ ৩১)
মূল প্রতিবেদন-
অসভ্যতা-ভন্ডামী আর মানুষকে বোকা বানিয়ে ইসলামের নামে পাপাচারের মচ্ছব চলছে চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বদুরপুরে। আল্লাহর অলি সোলায়মান ল্যাংটার নাম ভাঙিয়ে বছরের পর বছর একটি চক্র চালাচ্ছে এমন অরাজক কারবার। মানুষের ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে পূন্যের নামে, সেখানে চলেছে পাপের মিলন মেলা। হাতিয়ে নিচ্ছে সহজ-সরল মানুষের উপার্জিত অর্থ।
অসভ্যতা-ভন্ডামী, মানুষকে বোকা বানিয়ে ধর্মকে বিকৃত করে ইসলামের নামে পাপাচারের এক মিলন মেলা বসেছিলো। প্রতিবছর ৩১ শে মার্চ মাজার ভক্তদের ওরসের নামে গাঁজা, মদ, ইয়বা সহ নানা ধরনের মাদকের আড্ডা এবং অশ্লীল নৃত্যের পাশাপাশি নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, যা ধর্ম তো দুরের কথা কোন সভ্য সমাজে কল্পনা করা যায় না।
চাঁদপুরের মতলবের বদুরপুরে আল্লাহর অলি সোলায়মান ল্যাংটার নাম ভাঙিয়ে বছরের পর বছর চলছে এমন অরাজক কারবার। মানুষের ধর্মীয় আবেগকে পূজি করে বছরের পর বছর চলছে, পূন্যের নামে পাপের এমন মেলা। সবার গন্তব্য হযরত শাহ সোলায়মান ল্যাংটার মাজার।
নতুন ভিডিও (01) দেখুন :
প্রতি বছর প্রায় লাখো মানুষের সমাগম হয় মানুষের।কথিত আছে, প্রায় দেড়শ বছর আগে সোলায়মান নামে এক আল্লাহর অলি ছিলো, আধ্যাত্মিক ওই অলি কোন কাপড় পড়তেন না বলেই তাকে সবাই ল্যাংটা বলে ডাকতো।
নতুন ভিডিও (02) দেখুন :
ল্যাংটার সেই মাজার নিয়ে তার দুঃসম্পর্কের আতœীয়রা এখন ধান্দাবজি শুরু করেছে বলে এলাকাবাসীর মাজারের আশপাশ ঘিরে মদ জুয়া থেকে শুরু করে সব অপকর্মের এই মেলা বসিয়েছে একটি চক্র। ধর্মের কথা বলা হলেও সব অধর্মের কার্যকালাপ চলেছে মেলা জুড়ে। ৫দিন ব্যাপী এই মেলার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ল্যাংটার ভক্ত দাবিদারদের একটি চক্র। এছাড়া মেলায় বিভিন্ন দ্রব্যাদি একাধিকবার বিক্রির মাধ্যমে হাতিয়ে নিছ্চে অনেক টাকা। বিস্তারিত ভিডিউতে-
ভিডিও-03
ভিডিও-04
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৬:২৪ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৫, রোববার
ডিএইচ/ এমআরআর