Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / চাঁদপুর বিষ্ণুপুর সপ্রাবিত জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে পাঠদান
edo school

চাঁদপুর বিষ্ণুপুর সপ্রাবিত জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে পাঠদান

নিরাপত্তাহীনতায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নানা সমস্যার মধ্যদিয়ে প্রতিদিন ঝরাঝির্ণ টিনসেট ভবনে শিক্ষা গ্রহন করছে ৫নং দক্ষিন বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার আবেদন করেও আজো রুপ পরিবর্তন হয়নি বিদ্যালয়ের টিনসেট ভবনটির। জানাযায় চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সেটি ১৯৮৮ সালে ৩টি শ্রেনিকক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হয়। তারপর থেকে ওই টিনশেড ভবনটি আজো পুনঃসংস্কার করা হয়নি। তাই জরাজীর্ণ ভবনেই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।

দীর্ঘ কয়েক বছর পার অতিবাহিত হওয়ায় ভবনটি এখন ব্যবহারের অনুপোযুগী হয়ে পড়েছে। তার পরেও তাতে চলছে প্রতিদিন কোমলমতি শিশুদের পাঠদান। ঝড় বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে অনাবরত পানি পড়তে থাকে। টিনশেড ভবনটি নির্মাণ করার পর কয়েক বছর আগে শুধুমাত্র একবার কিছু টিন পরিবর্তন করা হয়েছে। তারপর থেকে এভাবে দীর্ঘ কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও বিদ্যালয় ভবনটি আজো পুনঃ সংস্কার কিংবা নতুন কোন ভবন তৈরি করা হয়নি। তাই ঝুঁকিপূর্র্ণ ভবনেই চলছে প্রতিদিন শিক্ষা কার্যক্রম।

ওই বিদ্যালয়টিতে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় পুরনো দিনের সেই ভবনটি বেহাল দশায় পড়ে আছে। ভবনের বেশকিছু অংশে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। অনেকাংশে পিলার এবং ভীম গুলো বিশাল আকারে ফেটে গিয়ে সেগুলোর পাকা ঢালাই, আস্তর খসে পড়ে ভেতরের রড দেখা যাচ্ছে।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের জন্য ৩ টি শ্রেণি কক্ষের একটির কোন মিল নেই। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের ওপরে কোন ধরনের সিলিং নেই। কক্ষের এক পাশে বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত চেয়ার টেবিল স্তুপ করে রাখা হয়েছে। সেই সাথে শিক্ষকদের বসার জন্য অফিস কক্ষের ও কোন মিল নেই। তাদের কক্ষেও বৃষ্টির পানি পড়তে দেখা যায়। এমনকি বিদ্যালয়ের নামকরণে উন্নত কোন সাইনবোর্ড ও চোখে পড়েনি। তাই যা হবার তাই হচ্ছে, এলোমেলো ভাবেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোন রকমে চলছে শিক্ষা পরিচালনা।

বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা জানান এ বিদ্যালয়টিতে সর্বমোট ৫ জন শিক্ষকসহ ১২৫ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। তারা প্রতিদিন ভয় ভীতির মধ্য দিয়ে ক্লাস করছে। কখনো ঝড় তুফান হলে প্রত্যেকটি শ্রেণিকক্ষে বৃষ্টির পানি পড়ে এবং একটু বাতাস হলেই বিদ্যালয় ভবনটি কেঁপে উঠে। তখন ছাত্র ছাত্রীরা ভয়ে ক্লাস রেখে বিদ্যালয়ের বাহিরে চলে যায়। এমন পরিস্থতির মধ্যদিয়েই প্রতিদিন কোমলমতি শিশুদের পাঠদান করা হচ্ছে।

অনাকঙ্খিত কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই দক্ষিন বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি উন্নত পরিসরে পুনঃ সংস্কার করা হোক এমনটাই প্রত্যাশা করছেন গ্রামের সচেতন মহল।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ আলী জানান, ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা মৌখিক এবং লিখিতভাবে আবেদন করেছি। গত আগস্ট মাসে চাঁদপুর সদর উপজেলা কার্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে স্কুলটি দেখে ছবি তুলে নিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, আগামী অর্থবছরে বিদ্যালয় ভবনের কাজ ধরা হবে।’

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ০৩ পিএম, ১১ নভেম্বর, ২০১৭ রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply