Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর প্রশাসনের বক্তব্যে আস্থা রাখতে চান প্রার্থী ও ভোটাররা
চাঁদপুর প্রশাসনের বক্তব্যে আস্থা রাখতে চান প্রার্থী ও ভোটাররা

চাঁদপুর প্রশাসনের বক্তব্যে আস্থা রাখতে চান প্রার্থী ও ভোটাররা

চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, স্থানীয় সাংসদ, মন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনের ‘সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচন অনুষ্ঠানে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা রাখতে চান সাধারণ ভোটার ও বিরোধী সমর্থিত প্রার্থীরা।

চাঁদপুরের ৫ পৌরসভা নির্বাচনে সরকার সমর্থিত প্রার্থীগণ শেষদিন পর্যন্ত প্রচারণায় দলীয় ঐক্য বজায় রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করছেন। তাদের কাছে প্রশাসনের বক্তব্যে বরাবরই ইতিবাচক মনে হলেও বিরোধী সমর্থিত প্রার্থী ও ভোটারদের মনে শংকা এখনো কেটে উঠেনি।

এদের অনেকেই প্রশাসনের দেয়া প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা রাখতে চান। তারপরেও পূর্ববর্তী উপজেলা নির্বাচনের চিত্রে শংকার বিষয়টি অনেকটা পরোক্ষভাবে প্রকাশ করছেন। কোন প্রার্থী ও ভোটার দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে সুর মিলিয়ে শংকার কথাও ব্যক্ত করেছেন।

এদিকে অনেক আলোচিত মতলর উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভায় বিনা ভোটেই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মো. রফিকুর আলম জর্জ। হাইকোর্টের দেয়া বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতার রায় মঙ্গলবার আপিল বিভাগে ৬ মাসের জন্য স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বিষয়টিতে এমনটিই নিশ্চিত হয়ে যায়।

এতে করে মেয়র পদে জেলার ৫ পৌরসভা নির্বাচনের স্থলে ৪ পৌরসভায় নির্বাচন হতে পারে।

তবে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়কে বাতিল না করে ৬ মাসের জন্য স্থগিত করায় স্থানীয়ভাবে ভোটার ও প্রশাসনের মাঝে মেয়র পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া না হওয়ার ব্যাপারে কিছুটা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

তবে বিএনপি প্রার্থী আইনজীবীরা জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের রায় ৬ মাস স্থগিতাদেশ দেয়ায়, বিএনপি প্রার্থী সারোয়ারুল আবেদিন প্রার্থিতা নেই, সেহেতু তিনি র্নিবাচনে অংশ নিতে পারছেন। তবে তারা এ বিষয়ে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিনব্যাপী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভায় প্রশিক্ষন, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সভাসহ নির্বাচনী নানা কর্মসূচিতে ছিলেন। এতে ও পৌরসভা প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলেই ব্যস্ত ছিলেন।

যখনি ঢাকা থেকে আপিল বিভাগের স্থগিতাদের সংবাদ পৌর এলাকায় আসে, তখনি বিএনপির মেয়র প্রার্থী সারোয়ারুল আবেদিন ঢাকার পথে রওয়ানা হয়েছেন বলে তার ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছেন।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী সারোয়ারুল আবেদীন খোকনের মনোনয়নপত্র ৫ ডিসেম্বর বাছাইতে বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। পরে জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডলের কাছে তিনি আপিল করলে ১০ ডিসেম্বর সেটি খারিজ করে দেয়া হয়।

উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, ‘আপিল বিভাগের রায়ের সংবাদ শুনেছি, তবে এখনো রায়ের কপি পাইনি, তাই মেয়র পদে নির্বাচন হবে কি হবে না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। রায়ের কপি পেলেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।’

১৩ ডিসেম্বর মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামানের যৌথ বেঞ্চে সারোয়ারুল আবেদিনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই এ আদেশ দেয়া হয়।

এই আদেশের বিরুদ্ধে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রফিকুল আলম জর্জ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল আবেদন করেন। সে আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের দেয়া রায়কে ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন। এতে করে সরকার দলের এই প্রার্থীর বিনাভোটে বিজয়ী হওয়ার পথ খোরা হয়ে যায়।


হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী যে হারে তার দলীয় কর্মীদেরকে নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন সে হারে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবদুল মান্নান খান বাচ্চু দলীয় কোন্দরের কারণে পারছেন না। গ্রুপিংয়ের রোষানলে তিনি নিজ দলের কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় পৌরসভাধীন টোরাগড় গ্রামে স্বর্ণকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, মেয়র ও দলের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন নেতা-কর্মীদের খোঁজ খবর না নেয়ায় গণসংযোগকালে বিক্ষুব্ধকর্মীরা তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। কয়েকজন কর্মী তাঁকে মারধর করতে তেড়ে আসেন। পরে তাঁর সাথে থাকা নেতা-কর্মীরা তাঁকে রক্ষা করেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির পাঁচজন নেতা বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় হাজীগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে ১০১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় কয়েক হাজার নেতা-কর্মী আসামী হয়েছেন। মান্নান খান ৩২ বছর দলের সভাপতি ও ২ বার মেয়র হয়েছেন। নেতা-কর্মীরা মামলা হামলার সময় ও দলের দুর্দিনে তাঁকে পাশে পায়নি। এখন ভোটের সময় নেতা-কর্মীদের কাছে ভোটের জন্য ধর্ণা দিচ্ছেন।

তবে নেতাকর্মীরা যাই বলুক, বিএনপি সমর্থিত সাধারণ ভোটাররা দলীয় এসব গ্রুপিংকে আমলে নিচ্ছেন না। তাদের দাবি প্রতীক দেখেই আমরা ভোট দেব। মেয়র মান্নানের বিরোধী দলীয় অনেক নেতাকর্মীই ধানের শীষ প্রতীকেই ভোট দেয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।

সোমবার হাজীগঞ্জ ই-সেন্টারে নির্বাচনী আচরণবিধি অবহিতকরণ সভায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল প্রার্থীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, হাজীগঞ্জ জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ন উপজেলা। এ উপজেলায় অতীতে, বর্তমানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন, সেসব নেতা সৃষ্টিতে উপজেলাবাসীর গুরুত্বপূর্ন অবদান রয়েছে। আমরা এ পৌরসভার সম্মান সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে ও নির্বাচন সুষ্ঠ করতে প্রশাসন সবধরনের ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বিঘœ যারা দ্বারাই হবে, তাকেই গ্রেফতার করা হবে।


গ শ্রেণির পৌরসভা হলেও চাঁদপুরের একটি উল্লেখযোগ্য পৌরসভা হচ্ছে ফরিদগঞ্জ পৌরসভা। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ভোটের সমীকরণ পাল্টে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ভোটারদের ধারণাথ শেষ পর্র্যন্ত ধানের শীষ আর নৌকা প্রতীকের মধ্যে মূল লড়াই হবে। দীর্ঘদিন পর ধানের শীষ ও নৌকা প্রতীকের ভোট হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে নতুন জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় এমপিসহ জেলা ও উপজেলা নেতারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীকে দলীয় সমর্থন দিয়ে নাম মনোনয়ন বোর্ডে পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু সেখানে আওয়ামী লীগের অপর একটি গ্রুপের শক্তিশালী লবিংয়ে পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক দলের মনোনয়ন পেয়ে যান। এতে আবুল খায়ের পাটওয়ারী বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও দলীয় এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার নির্দেশে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তবে বেশির ভাগ নেতাকর্মীকে মাহফুজের পক্ষে নির্বাচনী কাজে মাঠে দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা অভিযোগ জানান, দলীয় প্রতীক নিয়ে মাহফুজ নির্বাচন করলেও তিনি কোনো কাজে তাদের ডাকছেন না।

অপরদিকে, উপজেলা বিএনপি দীর্ঘদিনের গ্রুপিং অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছে। নির্বাচনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন হারুনুর রশীদ এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী দীর্ঘদিনের মতভেদ ভুলে গিয়ে হারুন-অর-রশীদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি থাকলেও দলীয় কোন্দলের ফলে দীর্ঘদিন মেয়র পদটি হাতছাড়া ছিল। গত কয়েকটি নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত মঞ্জিল হোসেন (বিদ্রোহী প্রার্থী) দলীয় গ্রুপিং কাজে লাগিয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী ও বিশিষ্ট শিল্পপতি এমএ হান্নানের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে খুব সহজে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতেন। এবার মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী তার পক্ষে কাজ না করায় বিদ্রোহী প্রার্থী মঞ্জিল হোসেন অন্য কৌশল অবলম্বন করছেন। কৌশল কাজে লাগাতে পারলে হয়তো বিজয়ের হাসি হাসতে পারবেন। অন্যথায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর মধ্যেই মূল লড়াই হবে।
—————
মতলব পৌরসভায়ও বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তুমুল প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আওলাদ হোসেন লিটন বলেন, ‘সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না বলে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে। মতলবের শান্তিপ্রিয় মানুষ ভোটেরদিন এসব গুজবের জবাব দেবেন। আমার বিশ্বাস ভোটাররা নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে মতলব পৌরসভাকে এগিয়ে নেবে।’

তার বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করা বর্তমান মেয়র ও বিএনপির প্রার্থী এনামুল হক বাদল বলেন, পূর্বে দু’বার গণরায় নিয়ে মতলব পৌরবাসীকে সাথে নিয়ে মতলবের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, প্রশাসন নির্বাচনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের প্রতিশ্রুতি ঠিক রাখলে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ সম্ভব হবে এবং আমি জয়ী হবো। অন্যথায় ভোটারদের শংকাই সঠিক হবে।

——————
কচুয়া পৌর নির্বাচনে ৪ জন মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত আসনে ৯ মহিলা ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩১ জন প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা জমজমাট হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত মাইকে প্রচার ছাড়াও প্রার্থীরা উল্কার মতো ছুটে চলেছে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। পুরানো আত্মীয় ঝালাইয়ের কাজেও তারা বেশ মনোযোগ দিয়েছেন। এতে করে পুরানো আত্মীয় স্বজনদের আদর-কদরও যথেষ্ট বেড়ে গেছে।

নির্বাচন উপলক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করছেন উঠান বৈঠক। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে কচুয়া পৌর বাজার ও বিশ্ব রোডসহ পাড়া-মহল্লা।
লক্ষ্যণীয় বিষয়, পুরুষ প্রার্থীদের পাশাপাশি মহিলা প্রার্থীরাও পিছিয়ে নেই। তারাও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উঠান বৈঠক করে ভোট প্রার্থনা করছেন। গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের মনজয়ে গণসংযোগ অব্যাহত রাখছেন। তাদের চোখে যেনো লেশমাত্র ঘুম নেই। নির্বাচিত হলে পৌরবাসীর জন্য কে কী করবেন তাও ভোটারদের মাঝে তুলে ধরছেন। গরিব অসহায় ও সমস্যায় জর্জরিত ভোটারদের কল্যাণে সার্বিক সহযোগিতা করার দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন।

সংরক্ষিত আসনে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন ৯ জন মহিলা প্রার্থী। এদের মধ্যে ক’জন বর্তমান কাউন্সিলরও রয়েছেন। প্রতিটি আসনে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ১জন করে প্রার্থীকে অনানুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন।

তবে বিএনপি’র পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ও কাউকেও অনানুষ্ঠানিক ভাবে সমর্থন জানানো হয়নি।

কচুয়ায় সরকার দলের মনোনিত প্রার্থী নাজমুল আলম স্বপনের দাবি, উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগসহ সকল অঙ্গসহযোগী সংগঠন তার জন্য প্রচারণা সময় দিচ্ছেন। নির্বাচনের দির পর্যন্ত তাদের মাঝে সক্রিয় ভূমিকা ও ঐক্য বজায় থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনিত প্রার্থী হিসেবে তার বিজয় নিশ্চিত।

এদিকে মতল উত্তর উপজেলার ছেংগারচরে মঙ্গলবার দিনব্যাপী নির্বচনী বিভিন্ন কর্মসূচিতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল, নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমন জেলা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে আচরণবিধি অবহিতকরণ সভায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল বলেছেন, নির্বাচনে সাধারণ ভোটার যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন সেজন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করছে এবং সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।

জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেছেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে ভোটার যাতে ভোট প্রদান করতে পারে সে পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে আনার দায়িত্ব প্রার্থীদের আর নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের। আপনারা নির্ভয়ে ভোট দিতে আসবেন। ভোট প্রদানে বিশৃংখলা সৃষ্টি করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

শেষ মুহূর্তে এসে ছেংগারচর পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ায়, চাঁদপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে মনে করছেন সচেতনমহল।

সবমিলিয়ে ভোটের লড়াই নৌকা আর ধানেরশীষে নির্বাচনী আমেজ মতলব উত্তরের ছেংগারচর পৌরসভা ছাড়া অন্য বাকী ৪ পৌরসভাতে রয়েছে।

দেলোয়ার হোসাইন

 ।। আপডেট : ০৬:০০ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫, বুধবার

ডিএইচ