চাঁদপুর ড্রাগ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে হাজীগঞ্জ বাজারের দুই ঔষুধ ব্যবসায়ীর সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা এক টার দিকে চাঁদপুর ড্রাগ কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তার হাজীগঞ্জ বাজারের ফার্মেসিগুলোতে অভিযান চালায়।
একপর্যায় সরকার ফার্মেসিতে গেলে উপজেলার তথাকথিত ড্রাগ সমিতির সাধারন সম্পাদক ও পাশ্ববর্তী মেডিসিন কর্ণারের স্বত্তাধিকারী হাজী এনামুল হক তালালও হাজির হন।
তিনি সরকার ফার্মেসীর স্বত্তাধিকারী সূজন সরকারকে উদ্দেশ্য করে ড্রাগ কর্মকর্তার সামনে বেজাল ওষুধ বিক্রি করে বলে অভিযোগ করে।
এ সময় সরকার ফার্মেসীর সূজন সরকার প্রমান জানতে চাইলে মেডিসিন কর্ণারের তালাল মিয়া চড়াও হয়ে সূজন সরকারকে এলোপাতারী মারধর শুরু করে। এক পর্যায় মেডিসিন কর্ণারের স্টাফরাও দলবেঁধে ছুটে এসে সুজন সরকারকে মারধর করলে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি চরম পর্যায়ে চলে যায়।
ঘটনার অবস্থা বেগতিক দেখে ড্রাগ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। এ সুযোগে মেডিসিন কর্ণারের কর্মচারীরা দলবেধে সরকার ফার্মেসীতে প্রবেশ করে কর্মচারীদের বের করে লুটতরাজ চালিয়ে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে সরকার ফার্মেসির সূজন সরকার বলেন, ‘আমি সরকারের নিয়মনুযায়ী ন্যায্যমূল্যে ব্যবসা করে আসছি, যা আমার প্রতিবেশি ফার্মেসী মেডিসিন কর্ণারের মালিক তালাল মিয়ার সহ্য হয় না। তিনি বিভিন্ন সময় আমাকে অফার করেছেন তার সাথে মিলে ন্যায্যমূল্যের পরিবর্তে চড়াও দামে ওষুদ বিক্রি করার জন্য। আমি তালাল মিয়ার কথায় রাজি না হওয়ায় আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে আজ তিনি হিংসায় অতি উৎসাহী হয়ে ড্রাগ কর্মকর্তাকে দিয়ে আমাকে হয়রানির চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন।
কিন্তু ড্রাগ কর্মকর্তা আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কোন সত্যতা না পাওয়ায় হঠাৎ করে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। আমাকে মেরে দোকান থেকে আমার দু’ভাই ও কর্মচারীদের বের করে দিয়েছেন। দোকানের ভিতরে নগদ লক্ষাধিক টাকাসহ অনেক মেডিসিন নষ্ট করে দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। আমি বিষয়টি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দদের জানিয়েছি।
ঘটনার সত্যতা জানতে চাঁদপুর ড্রাগ কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৫৪ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ