চাঁদপুর

চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের কাজে ধীরগতি : ঈদে বাড়বে যাত্রী দুর্ভোগ

চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়ক আঞ্চলিক থেকে জাতীয় সড়কে উন্নীত করতে রাস্তার দু’পাশ প্রশস্ত ও একাধিক ব্রিজ নির্মান কাজে চরম ধীরগতি। এতে করে গত এক বছর ধরে সড়কে যানবাহন চলাচলে যাত্রীরা সিমাহীন দূর্ভোগে পড়তে দেখা যায়। বিষয়টি মোটেও আমলে নিতে চাইচেন না চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের ৫৮ কিলোমিটার জুড়ে উভয় পাশের ৩ ফিট প্রশস্তকরণসহ মাটি ভরাট ও কয়েকটি ব্রিজ কালভাটসহ উক্ত কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১শ ২৫ কোটি টাকা।

সড়কটি বর্তমান ১৮ থেকে ২৪ ফিট চওড়ায় উন্নিত করার কাজ চলছে। আর তা বাস্তবায়ন হলে যানবাহন চলাচল সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লীস্টরা।

এদিকে গেলো বছরের শেষ দিকে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের কাজ শুরু হলেও পথে পথে নানা মুখি বাধাঁর মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে দাবি রানা বিল্ডার্স নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে সড়কের দু’পাশে বড় বড় গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটিসহ নানা জটিলতাকে উপেক্ষা করে তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে দাবি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। তার পরেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন বলছেন আগামি ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে তাদের কাজ সম্পন্ন হবে।

তবে বছরের পর বছর গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে ঠিকাদাররা কাজ করতে গিয়ে প্রতিদিন যানবাহনের অপেক্ষমান চিত্র লক্ষনীয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে উক্ত সড়কের হাজীগঞ্জ থেকে বাকিলা বাজার পর্যন্ত দুই পাশের শত শত যানবাহন সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে পড়তে দেখা যায়।

বর্তমানে বলাখাল পূর্ব ও পশ্চিম বাজারে তিনটি ও কৈয়ারপুল ব্রিজের কাজ চলছে ধীরগতিতে। যে কারনে এসব স্থানে ছোট বড় যানবাহনগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা পর্যন্ত পারাপার হতে সময় লাগছে বলে একাধিক চালকের দাবি।

আর এসব বিষয় আমলে নিচ্ছেন না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিংবা সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ। তাদের মতে অতি বৃষ্টি ও বর্ষার পানির চাপে তাদের কাজের গতিতে ব্যঘাত ঘটছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলী সুব্রত দক্ত বলেন, চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের ৫৮ কিলো জুড়ে দুই পাশের ৩ ফুট করে রাস্তা বৃদ্ধিসহ ছোট বড় ব্রিজ কালভাটের কাজ আগামি ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। আর সড়ক উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে সড়কের যানবাহনসহ যাত্রীসাধারণের সাময়িক ব্যাঘাত ঘটাটা সাভাবিক ব্যাপার।

প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়

Share