Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে বেসরকারি ক্লিনিকগুলির মোটা অংকের রাজস্ব ফাঁকি
চাঁদপুরে বেসরকারি ক্লিনিকগুলির মোটা অংকের রাজস্ব ফাঁকি

চাঁদপুরে বেসরকারি ক্লিনিকগুলির মোটা অংকের রাজস্ব ফাঁকি

চাঁদপুরের সবক’টি উপজেলায় ৪৭টি বেসরকারি হাসপাতাল, ২ শ’ ২৫টি প্যাথলজি, ডেন্টাল ও ডায়াগণস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ প্যাথলজি, ডেন্টাল ক্লিনিক ও ডায়াগণস্টিক সেন্টার গুলি অবৈধভাবে চলছে । ফলে বছরে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

এদিকে ওইসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলি বাৎসরিক নবায়ন ফি থেকেও সরকারকে বঞ্চিত করে আসছে। এতে দু’দিক থেকেই রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।

এছাড়া অনুমতিপ্রাপ্ত সেন্টারগুলির মধ্যে চলতি বছরের অর্ধেকের বেশি এখনো নবায়ন ফি প্রদান করেনি।

চাঁদপুর সিভিল কার্যালয়ের বিশেষ এক সূত্র থেকে জানা গেছে, বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে চাঁদপুর সদরে ৬৩টি, ফরিদগঞ্জে ৪০টি, কচুয়ায় ২৯টি, শাহরাস্তি ২১টি, হাজীগঞ্জে ২৮টি, মতলব দক্ষিণে ১৮টি, মতলব উত্তরে ৮টি, হাইমচরে ২টি প্যথলজিক্যাল, ডেন্টাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।

এসবের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৬টি, ফরিদগঞ্জে ১৬টি, কচুয়ায় ৮টি, শাহরাস্তিতে ৭টি, হাজীগঞ্জে ১০টি, মতলব দক্ষিণে ৬টি ডেন্টাল ও প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের লাইসেন্স নেই। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মতে এসব প্রতিষ্ঠানগুলি অবৈধ।

বিশেষ করে জেলাশহর ও উপজেলা সদরের বেশিরভাগ ডেন্টাল ক্লিনিগুলি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে বলে চাঁদপুর টাইমসকে জানিয়েছে চাঁদপুর সিভিল সার্জন বিভাগ।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেয়া তথ্যমতে আরো জানা যায়, একটি হাসপাতাল অনুমোদনের জন্য ৫ হাজার টাকা ট্রেজারি চালান ও প্রতিবছর নবায়ন ফি দিতে হয়। প্রতিটি প্যাথলজি, ডেন্টাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টার অনুমোদনের জন্য ১ হাজার টাকা ট্রেজারি চালান ও প্রতিবছর নবায়ন ফি জমা দিয়ে হালনাগাদ করতে হয়।

অনুমতি ছাড়াই কোনো কোনো ডেন্টাল ও প্যথলজিক্যাল মালিকরা মুখরোচক ও দৃষ্টিনন্দন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে তাদের অবৈধ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে।

এছাড়াও ক্লিনিক, হাসপাতাল ও প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের অনুমোদন পেতে ও বৈধ পন্থায় চালিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, ট্যাকনেশিয়ান, ফার্মাসিস্ট, রি-এজেন্ট ও অন্যান্য সাজ-সরাঞ্জাম আবশ্যকতা রয়েছে। এক্ষেত্রেও এসব প্রতিষ্ঠানগুলি পিছিয়ে রয়েছে।

তবে কেউ কেউ বলেছেন অনুমতি পেতে স্বাস্থ্য বিভাগের কড়াকড়ি আরোপের কারণেই অনেকে অনুমোদন না পেয়েই সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে চিকিৎসা সেবার নামে ব্যবসা করে যাচ্ছেন।

এসব প্রতিষ্ঠানগুলি চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রেও তারা কোনো প্রকার নিয়মনীতি না মেনেই রোগীদের কাছ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে মোটা অংকের অর্থ আদায় করার অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, অবৈধ ডেন্টাল ও প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের মালিকদেরকে বার বার চিঠি দেয়া সত্ত্বেও তারা কোনো আমলে নিচ্ছে না।

প্রশাসনিক অনুমতি ব্যতিরেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা যায় না বলে তারা মাসের পর মাস, বছরের পর বছর অবৈধভাবে এসব ক্লিনিক পরিচালনা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে চাঁদপুর সিভিল সার্জন বিভাগ।

আবদুল গনি[/author] : আপডেট ১০:০০ পিএম, ১০ মে ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ