Tuesday, May 19, 2015 11:37:10 PM
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট :
চাঁদপুরে বিআইডব্লিউটিএর ২০ টি ঘাটের মধ্যে ১৭ টি ঘাটের টেন্ডার প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সমঝোতায় ৬টি ঘাটের টেন্ডার সম্পন্ন হওয়ায় সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে বলে ধারণা করা করছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-বন্দর কর্মকর্তা মোঃ মোবারক হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম, সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান, মোঃ সারোয়ার আহম্মেদের উপস্থিতিকে চাঁদপুরসহ ৬টি জেলার ৫৩ টি ঘাটের টেন্ডার প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরেজমিনে গেয়ে দেখা যায়, চাঁদপুরে ২০ টি ঘাটের মধ্যে প্রথম দফায় ১৭ ঘাটের টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি ৩টিও দু’একদিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
চাঁদপুরের প্রথম দফায় ১৭টি ঘাটের মধ্যে মাত্র ৬টি ঘাট টেন্ডারে ৯জন দরপত্র জমা দিয়েছে। এর মধ্যে সকলে সমঝোতার মাধ্যমে দরপত্র জমা দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায়।
৬টি ঘাট ইচুলী লঞ্চ ঘাটে ২ জন, ষাটনলে ২জন, মতলব ফেরী ঘাটে ২জন, নয়ার হাটে ১ জন,সফরমালী ঘাটে ১ জন, কানুদীতে ১জন অংশগ্রহণ করেছে।
জানা যায়, এরা সকলে সমঝোতার মাধ্যমে প্রথম দফায় ৬টি ঘাট পাবে। চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে প্রথম দফায় চাঁদপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর এ ৬টি জেলার ঘাটের ট্রেন্ডার প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অধিকাংশ জেলায় প্রথম দফায় কেউ অংশগ্রহণ করেনি বলে জানা যায়। জুলাই মাস পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ৯ দফায় অসমাপ্ত ঘাটগুলোর টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হবে। চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট প্রথম দফায় কেউ অংশগ্রহণ করেনি। তারা সমঝোতার মাধ্যমে শেষ দফায় পূর্বের দরপত্র চেয়ে কমে নেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তাদের যোগসাজেসে উৎকোচের বিনিময় তাদেরকে হাত করে ঘাটগুলো কম মূল্যে দরপত্রে নেয়ার চেষ্টা করছে। এতে প্রকৃত ইজারাদাররা বঞ্চিত হচ্ছে। প্রথম দফায় চাঁদপুরে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের নাম ও সর্বোচ্চ দর দাতার বিষয়ে বিআইডাব্লিউটি’র কর্মকর্তার মোঃ মোবারক হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের নাম ও ঘাট যারা পাবে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
৯ দফা পর্যন্ত অবশিষ্ট্য ঘাটগুলোর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বলা যাবে। এ দিকে প্রথম দফায় সমঝোতার মাধ্যমে ৬টি ঘাট টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে স রকার বঞ্চিত হচ্ছে। পূর্বেও বিআইডাব্লিউটিএর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজেসে কম মূল্যে ঘাট ইজারা দেয়া হয়েছে। সঠিক ভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব পাবে বলে প্রকৃত ইজারাদাররা ধারণা করছে।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫