Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ জনজীবন : বাড়ছে লোডশেডিং
hot seson river
চিত্র : মেঘনা নদী

চাঁদপুরে প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ জনজীবন : বাড়ছে লোডশেডিং

প্রচণ্ড দাবদাহে দেশজুড়ে নাভিশ্বাসে মানুষ। চাঁদপুরসহ সারা দেশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপ প্রবাহ এবং গরম হাওয়া। আগুন ঝরা রোদে হাঁপিয়ে উঠছে জনজীবন। এমনকি স্বস্তি পাচ্ছে না প্রাণিকুলও। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে হাপিত্যেশ করছে সবাই।

এখন আবহাওয়ার সাথে ঋতুর কোনো মিল নেই। ঝাঁজালো রোদ আর তীব্র খরতাপে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অসহ্য গরমে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দিন মজুরদের কষ্টের আর সীমা নেই। কোথাও কোনো গাছের ছায়া পেলেই সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে কিছুটা স্বস্তি পায়। যেনো গাছের ছায়াই সবচেয়ে শান্তির জায়গা।

শনিবার চাঁদপুর সদরের শাহতলী এলাকায় দেখা যায় একটি ককুর লাফিয়ে পড়ে ডাকাতিয়া নদীতে। এসময় উৎসুক জনতা তা দেখার জন্য ভীড় জমায় এবং বলতে থাকে গরমের কতেটা প্রভাব হলে পশু-পাখিরা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।

এদিকে গরমে শহরে তুলনামূলক কম হলেও গ্রামে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। এ লোডশেডিংয়ে গরমের পাশাপশি গ্রামে ফ্রীজ ব্যবহারকারীরা পড়েছেন বিপাকে। বিদ্যুৎ নির্ভর গ্রামীণ ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কিছুটা লোকসানে পড়ছেন।

অপরদিকে সূর্যের তাপমাত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুরের ধানচাষীরা সুবিধাজনক কারণে কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। রোববার ফরিদগঞ্জ এলাকার কয়েকজন কৃষকের সাথ আলাপকালে জানান, অতিরিক্ত গরমে কাজ করতে তাদের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু রোদের তাপ বেশি হওয়ায় তারা মাঠ থেকে ধান এবং গোখাদ্য (খড়) শুকিয়ে ঘরে আনতে পারছে। এতে তাদের কাজের চাপ কিছুটা কমে যাচ্ছে। তারা জানান, এ মুহূর্তে বৃষ্টি হলে দেশের মানুষ গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেলেও ধান চাষীরা তাদের ফসল ঘরে তুলতে বিপাকে পড়বে।

অন্যদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, বর্ষাকাল না আসা পর্যন্ত খুব শিগগিরই ভারী বর্ষণেরও কোনো সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া অফিস শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টিপাত হলেও ভারী বর্ষণ বন্ধ রয়েছে। বর্ষাকাল না আসা পর্যন্ত ভারী বর্ষণের তেমন কোনো সম্ভাবনাও নেই। তবে দুই-তিন দিন পর তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টিপাত হলেও গরমের তীব্রতা বেশি হওয়ায় শীতল হচ্ছে না প্রকৃতি। বরং ভ্যাপসা গরমে আরও অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষ। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তীব্র পানি ও বিদ্যুৎ সংকট।

তবে এ গরমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাওয়া, বাসি খাবার খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঠা-া জাতীয় কিছু খাওয়া এবং অপরিমিত খাবারের দ্বারা মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা থাকে।

চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে শাক সবজি ও নরমাল খাবারই এ গরমে উপযোগী বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। আর বাসায় বানানো শরবত খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

দেলোয়ার হোসাইন[/author]

: আপডেট ৩:৩০ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ

Leave a Reply