Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে নিকাহ রেজিস্ট্রারদের হয়রানি বন্ধে সংবাদ সম্মেলন
চাঁদপুরে নিকাহ রেজিস্ট্রারদের হয়রানি বন্ধে সংবাদ সম্মেলন

চাঁদপুরে নিকাহ রেজিস্ট্রারদের হয়রানি বন্ধে সংবাদ সম্মেলন

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কাজীদের হয়রানি বন্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে চাঁদপুর জেলা নিকাহ্ রেজিস্ট্রার সমিতি নেতৃৃবৃন্দ। শনিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১২টায় শহরের ফয়সাল শপিং সেন্টারে সংগঠনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের জেলা সভাপতি আলহাজ কাজী মাওলানা মো. ইমরান হোসাইনের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী বজলুর রহমান। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সংগঠনের কেন্দ্রিয় সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ছাবের আহাম্মাদ (কাজী ছাব্বির)।

লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, “যেহেতু ভ্রাম্যমাণ আদালতও অধস্তন আদালত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত, যেহেতু মাননীয় সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন কর্তৃক 55 DLR (1999) 25.  দ্বারা স্বীকৃত ‘‘Nikah Registrars are public servants”,  যেহেতু মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন ও বিধিমালায় পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও অনিয়মের দায়ে নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান বিদ্যমান আছে, যেহেতু মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা-২০০৯, সংশোধিত এস,আর,ও নং-৮৪ আইন/২০১১, বিধি-১১ এর ২৩ (ক) (৩) এ বিবাহ নিবন্ধনের সময় বর, কনে বা অন্য কোনো ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিলে এবং উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোন বিবাহ নিবন্ধন করা হইলে তজ্জন্য কোনো নিকাহ রেজিস্ট্রার দায়ী হইবে না মর্মে বিধান সুস্পষ্ট বিদ্যমান।”

“যেহেতু প্রচলিত বিধানে বর ও কনে পক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি দ্বারা বিবাহ রেজিস্ট্রি করার আবশ্যকতা রয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যাদি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে যাচাই বাছাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদ ও আইনী ক্ষমতা নিকাহ রেজিস্ট্রারের নাই। সর্বোপরি, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ এর ১৯ নং আইনে ধারা-৫ ও ৬ এ মোবাইল কোর্টের আওতাভুক্ত দ-িতদের মধ্যে বাল্যবিবাহের দায়ে ম্যারেজ রেজিস্ট্রারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই।”

“সেহেতু বাল্যবিবাহ রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় নির্বাহী মেজিস্ট্রেটরা ‘Public Servants’ (জনসেবক) হিসেবে নিকাহ রেজিস্ট্রারদের রাষ্ট্রে প্রচলিত আইন ও বিধান মতে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা, আইনী সুরক্ষা না দিয়ে বাল্যবিবাহের দায় চাপিয়ে সাজা প্রদান ও জেলে প্রেরণের আইনগত কোনো সুযোগ নাই।”

“তাই আইনী জটিলতা ও সামাজিক চলমান শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে বাল্যবিবাহের দায় চাপিয়ে নিকাহ্ রেজিস্ট্রারকে সাজা প্রদান থেকে বিরত থাকতে” নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতি আহ্বান জানান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কাজীরা।

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট || আপডেট: ০৫:০২ পিএম,  ২৮ নভেম্বর ২০১৫, শনিবার

এমআরআর