Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / চাঁদপুরে দাদী হত্যার দায়ে জেল পলাতক নাতির ফাঁসি
fasi

চাঁদপুরে দাদী হত্যার দায়ে জেল পলাতক নাতির ফাঁসি

দাদী কে শ্বাসরোধ করে হত্যার অপরাধে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেঙ্গারচর এলাকার মোখলেছুর রহমান নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে স্বর্ণালংকার ও মোবাইল সেট চুরির ঘটনায় আরো ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ২টায় চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ এই রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোখলেছুর রহমান মতলব উত্তর উপজেলার ছেঙ্গারচর এম এম কান্দির আব্দুর রশিদ প্রধানিয়ার ছেলে। হত্যার শিকার তার দাদি করফুল বেগম মৃত রমিজ উদ্দিন ওরফে রঙ প্রধানিয়ার স্ত্রী।

মামলার বিবরণ থেকে জানাযায়, করফুল বেগম তার নাতনী ‘ইতি’র সাথে প্রতি রাতে ঘুমাতেন। ইতি না থাকার কারণে ঘটনার রাত ২০১৪ সালের ৪ মে মোখলেছুর রমহান দাদীর সাথে ঘুমান। রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ঘটিকার সময় দাদীর সাথে থাকা স্বর্নালংকার ও একটি নকিয়া মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় মোখলেছ।

এ সময় সে তার দাদীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে বাড়ীর লোকজন পাশ্ববর্তী কুদ্দুছ প্রধানিয়ার ঘরের সামনে করফুল বেগমের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সংবাদ পেয়ে মতলব উত্তর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছিলো।

এই ঘটনায় মোখলেছুর রহমানকে সন্দেহ করে করফুল বেগমের আরেক ছেলে আফাজ উদ্দিন প্রধানিয়া ৫ মে মতলব উত্তর থানায় ৩০২/৩৭৯/৪১১ দÐবিধিতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতলব উত্তর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হানিফ ২০১৪ সালের ২০ জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আসামী মোখলেছের দেয়া তথ্যানুযায়ী তার এক আত্মীয়ের বাড়ী থেকে স্বর্নালংকার ও মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যাহ জানান, গত ৪ বছর মামলাটি চলাকালীন সময়ে আদালত ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করেন। আসামী মোখলেছুর রহমান তার জবানবন্দীতে অপরাধ স্বীকার করায় আদলত তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অপরাধে আরো ৩ বছরের সশ্রম কারাদÐ প্রদান করা হয়।

পিপি আমান উল্যাহ আরো জানান, আসামী মোখলেছুর রহমানের বিচার চলাকালীন শেষ সময়ে ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে কারারক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে মোখলেছ পলাতক রয়েছেন। এ কারণে আদালত তার বিরুদ্ধে মৃত্যুপরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানার নির্দেশও প্রদান করেছেন। আসামী পলায়নের ঐ ঘটনায় সে সময়ে তিন কারারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছিলো।

সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহমেদ এবং আসামী পক্ষে সরকার নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন মো. জয়নাল আবেদীন।

মাজহারুল ইসলাম অনিক