Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে ত্রাণের সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে অনশন : সাংবাদিক বলছে ভিন্ন কথা
ত্রাণের সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে

চাঁদপুরে ত্রাণের সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে অনশন : সাংবাদিক বলছে ভিন্ন কথা

ত্রাণ বিতরণে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অনিয়ম করেছেন-এমন অভিযোগে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন চাঁদপুর সদরের বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান শামীম। ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদে অবস্থান নিয়ে তিনি অনশন শুরু করেন।

ওই চেয়ারম্যানের দাবি, যে ত্রাণের চাল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে- তা তিনি উত্তোলনই করেননি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনের সাংবদিক বলছে একাধিকবার চাল উত্তোলনের প্রমাণ তার কাছে রয়েছে সে তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় থেকে শুরু হওয়া চেয়ারম্যানের এই অনশন প্রথমে ভাঙতে ব্যর্থ হন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম দেওয়ানসহ আরো অনেকে। তবে দুই ঘণ্টা পর প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতাদের অনুরোধে দুপুর দুইটায় তা অনশন ভঙ্গ করেন।

চেয়ারম্যান শামীম খান বলেন, ‘আমার ইউনিয়ন পরিষদে কোনো অনিয়ম দুর্নীতি করলে সেখানে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরায় তার প্রমাণ থাকবে। তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দাবি জানাই।’

কাঁদতে কাঁদতে চেয়ারম্যান বলেন, ভালো মানুষের সঠিক কথা বলে বাঁচা বড় কষ্ট হয়ে গেছে। অপরাধ না করেও যদি এভাবে অপরাধী হয়ে যাই, তার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো। আমার অপরাধটা কোথায়? কেন আমাকে এভাবে অপদস্ত করা হলো? আমি এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে তার বড় ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজ খান বাদল বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার ছোট ভাইকে সমাজ, এলাকা এবং প্রশাসনের কাছে অপদস্ত করা হয়েছে‘।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাণিজ ফাতেমা বলেন, তিনি কষ্ট পেয়েছেন সেজন্য এখানে এসে তার কথাগুলো বলেছেন। তিনি যদি কারও দ্বারা কোন বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন তাহলে ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষযে ৭১ টিভির চাঁদপুর প্রতিনিধি কাদের পলাশ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আমি পর্যাপ্ত তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণ সংগ্রহ করে রিপোর্ট করি। খাদ্য বিভাগ ও সিএসডি গোডাউন থেকে পাওয় তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী এ চেয়ারম্যান গেলো ২ এপ্রিল ১ টন, ৬ এপ্রিল ১ টন, ৮ এপ্রিল ৩ টন গুদাম থেকে উত্তোলন করেন কিন্তু এগুলো বিতরণ করেননি। পরবর্তীতে ১২ এপ্রিল বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন থেকে আমার কাছে খবর আসে তিনি চাউল বিতরণ করেননি। পরবর্তীতে ১৩ এপ্রিল সরেজমিন দেখার জন্যে ওই এলাকায় গিয়ে একাধিক ওয়ার্ড ঘুরে একাধিক ভুক্তভোগী মানুষের সাথে কথা বলেছি তারা এবং মেম্বাররা জানিয়েছে তারা কোনো চাল পাননি। পরে সেখান থেকে ফিরে ষন্ধ্যায় জানতে পারি তিনি ওই দিনই নতুন বরাদ্দের ২ টন চাল উত্তোলন করেছেন। ১৪ তারিখ আমার প্রতিবেদন টেলিভিশনে প্রকাশ হয়।

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট, ১৬ এপ্রিল ২০২০