Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন
গরম

চাঁদপুরে তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন

বৈশাখের শুরুতেই তীব্র তাপদাহে পুড়ছে চাঁদপুরসহ সারাদেশ। আরো দুদিন এই অবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। কয়েক দিনের টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ। গরমে হাসফাস অবস্থা মানুষের। দক্ষিণের বায়ুপ্রবাহ না থাকায় তাপ প্রবাহের স্থায়ীত্ব বেশি হচ্ছে। ফলে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস বলছে- এর আগে দেশজুড়ে এমন তীব্র তাপ প্রবাহ কখনও দেখা যায়নি। যাকে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে তীব্র তাপদাহে দীর্ঘসময় ধরে লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে চাঁদপুরের সাধারণ মানুষ। গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় পর্যায়ের বিদ্যুৎ সংকটের প্রভাব পড়ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এর প্রভাব পড়ছে চাঁদপুরেও। সরকারি হিসাবে, বর্তমানে দেশে চাহিদার তুলনায় দেড় হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। যদিও বাস্তবে এই ঘাটতি আরও বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন… চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক রোগী

সরেজমিনে দেখা গেছে, চাঁদপুরের বেশীরভাগ এলাকায় দিনের দীর্ঘ একটা সময় ধরে বিদ্যুতের যথাযথ সরবারহ থাকছে না। দিনের দীর্ঘ সময় ধরে লোডশেডিং হচ্ছে। আর বিদ্যুৎ আসলেও এক ঘন্টার বেশী থাকছে না।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার লড়াইরচর এলাকার বাসিন্দা মাসুদুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘নামাজের সময়ও বিদ্যুৎ থাকে না। আমরা ঠিকমতো নামাজও পড়তে পারি না। প্রায় সময় বিদ্যুৎ থাকে না। কয়েকঘন্টা পরপরই বিদ্যুৎ আসে, কিছুক্ষণ থাকার পর আবার চলে যায়।’

লোডশেডিয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীরা। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

এক এসএসসি পরীক্ষার্থী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বিদ্যুৎ ঠিকমতো না থাকায় পড়াশোনা করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে ঠিলমত পড়তে বসতে পারিনা’

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার দেব কুমার মালো, চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘স্বাভবিক সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৫৬ মেগাওয়াট কিন্তু বর্তমানে এটি বেড়ে ৯৯ মেগাওয়াটে দাড়িয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তীব্র গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় শতগুণ বেড়ে গেছে। আমরা চাহিদানুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। যার ফলে গ্রাহকদেরকে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে পারছি না।’

প্রতিবেদক: মুজাহিদুল ইসলাম, ১৮ এপ্রিল ২০২৩