মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। আর এই ঈদকে সামনে রেখে বাহারি ডিজাইনের পোশাকে সাজানো হয়েছে চাঁদপুরের বিপনি বিতানগুলো। বিপনিবিতান গুলোতে ক্রমেই বাড়ছে ক্রেতা সমাগম।
বিক্রেতারা বলছেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতা থাকলেও বিক্রি কম। ক্রেতারা বলছেন অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পোশাকের দাম অনেকটাই বেশি। তারপরও পরিবারের ঈদ আনন্দের কথা ভেবে কিনতেই হচ্ছে। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন।
ঈদকে সামনে রেখে পাঞ্জাবি, শার্ট-প্যান্ট, থ্রি পিস, শাড়িসহ বাচ্চাদের নতুন সব জামা কাপড় দিয়ে দোকান সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও গতবছরের তুলনায় এ বছর দামবৃদ্ধি থাকায় পোশাক বিক্রিতে ভাটা পড়েছে।
চাঁদপুর শহরের হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, ঈদে অনেক দোকানেই ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্য মূল্য ছাড়ের কথা লেখা থাকে। কোন কোন ক্রেতা আসছেন পছন্দ করছেন, কিনে নিচ্ছেন পছন্দমত পোশাক। যদিও এবার গতবছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি। ক্রেতারা পোশাকের দাম শুনে বিরক্ত হয়ে চলে যাচ্ছেন। মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় আছে, তবে তুলনামূলক বিক্রি কম। আশা করা যাচ্ছে ২-৩ দিনের মধ্যে পুরোদমে কেনাকাটা জমে উঠবে।
শহরের মীর শপিং কমপ্লেক্সে আসা ক্রেতা আফসানা বলেন, ঈদের ২-৩ দিন আগে মার্কেটে প্রচুর ভিড় হয়। তাই আগেভাগে চলে এসেছি। পছন্দের পোশাক কিনেছি, আরও কিনবো। তবে দাম খুব বেশি মনে হচ্ছে। দামের কারণে মার্কেটে বেশি সময় দিতে হচ্ছে।
হাকিম প্লাজায় আসা ক্রেতা পাবেল বলেন, নিজের জন্য, পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। মনে হয় না একদিনেই হয়ে যাবে। লাগাম ছাড়া দাম। কোন নিয়ন্ত্রণ নেই মার্কেটে। প্রশাসনের মনিটরিং করা উচিত।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদ এলেই বেড়ে যায় চুরি ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক ঘটনা। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে কাজ করছে পুলিশ। প্রত্যেক মার্কেটে এরইমধ্যে পুলিশ সদস্যের নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের টহল সার্বক্ষণিক থাকবে। কেউ কোন অভিযোগ দিলে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্টাফ করেসপন্ডেট,২৯ মার্চ ২০২৪