Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারকৃত ৩ কিশোরীকে গাইনী ওয়ার্ডে স্থানান্তর
চাঁদপুরে অচেতন অবস্থায়, চাঁদপুরে অচেতন অবস্থায়

চাঁদপুরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারকৃত ৩ কিশোরীকে গাইনী ওয়ার্ডে স্থানান্তর

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামে কোল্ডড্রিংসের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তিকৃত ৩ কিশোরীকে মেডিকেল রির্পোটের জন্য হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে।

১৩ অক্টোবর,মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে হাসপাতালের নিচ তলার গাইনী বিভাগে নিয়ে ধর্ষণের পরীক্ষা করার জন্য ওই তিন কিশোরীর আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে মেডিকেল রির্পোট না আসা পর্যন্ত তারা ধর্ষিত হয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার সুজাউদ্দৌলা রুবেল চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ওই তিন কিশোরকে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের চতুর্থ তলা থেকে নিচ তলার গাইনী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং মেডিকেল চেকআপের জন্য তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ধর্ষণ হলে যে ধরনের আলামত থাকে প্রাথমিক ভাবে আমরা তার তেমন কিছুই পাইনি।

রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ধর্ষণের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এখনো রিপোর্ট হাতে আসেনি, আগামীকালকে রির্পোট আসবে। রির্পোট আসলেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এদিকে দুই কিশোরীর মাতা মঙ্গলবার বিকেলে বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযুক্ত মিলন বরকন্দাজের বিরুদ্ধে চুরি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

ঘটনার পর থেকে আসামী মিলন বরকন্দাজ পলাতক থাকায় থানা পুলিশ এখনো তাকে আটক করতে সক্ষম হননি।

চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত হারুনুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন মঙ্গলবার বিকেলে দুই কিশোরীর মাতা বাদী হয়ে চুরি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি রুজু হওয়ার প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে আমরা তাকে আটক করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আসামী গা টাকা দিয়ে থাকার কারণে আমরা এখনো তাকে আটক করতে পারছিনা।

উল্লেখ্য,গত ১১ অক্টোবর রোববার রাতে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডস্থ দক্ষির মদনা গ্রামের বরকন্দাজ বাড়িতে ৩ কিশোরীকে কোল্ডড্রিংসের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করার অভিযোগে মুমূর্ষ অবস্থায় তাদেরকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নির্যাতিত তিন কিশোরী দক্ষিণ মদনা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী। এদের ৩ জনের মধ্যে দুজনের বয়স ১৩ বছর আরেকজনের বয়স ১৪ বছর।

প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,১৩ অক্টোবর ২০২০