Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন থামছে না : জরুরি মেরামতের চেষ্টা
Meghna-Nodi-Dhoss
ফাইল ছবি

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন থামছে না : জরুরি মেরামতের চেষ্টা

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকার নদী ভাঙ্গন বন্ধ হচ্ছে না। বরং পূর্বের স্থানের আশপাশে আরো বেড়েছে। এখন হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্সের বিপরীত মরন সাহার বাড়ি সংলগ্ন অষ্টমী¯œানের স্থান দিয়ে নদী ভাংছে।

সেখান দিয়ে শহর রক্ষা বাঁেধর প্লেসিং ও ড্যাম্পিং করা অনেক বালুর জিও ব্যাগ এবং ব্লক নদীতে ঢেবে গেছে। এখানকার বাসিন্দা লক্ষ্মণ দাস (৫০) জানান, ঘূর্ণিপাকে এখানকার অনেক ব্লক সরে গেছে এবং নদীতে ঠাঁই পাওয়া যাচ্ছেনা।

শুক্রবার দুপুরে সরজমিনে ভাংগন স্থান পর্যক্ষেণ ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, হরিসভার দক্ষিণে মাস্টার বাড়ি, সহদেব সাহার বাড়ি ও গৌরাঙ্গ সাহার বাড়ি এই তিন বাড়ির পেছনে শহর রক্ষার আরসিসি’র যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখান থেকে নদীর অংশের কয়েক সারির ব্লকবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। ওপরের অংশে ব্লকগুলো আস্তে আস্তে নিচের দিকে তলিয়ে যাচ্ছে।নদীতে তীব্র ¯্রােত বইছে । মনে হবে শহরের ওই এলাকাটি মেঘনায় ভাসছে।

এদিকে এ স্থান দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নতুনভাবে আবার ব্লক ফেলা শুরু করেছে।নদী ভয়ঙ্কর রুপ ধারন করায় পুরাণবাজার এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। হরিসভা রাস্তা ভেঙ্গে গেলে মধ্যশ্রীরামদী ও পশ্চিম শ্রীরামদী এ দুটি এলাকার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
পৌর ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়ের মিজি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, হরিসভা মোড় থেকে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুর মোহাম্মদ বকাউলের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় আড়াই’শ মিটার এলাকার ভাংগন পরিস্থিতি খুবই খারাপ।

এখান দিয়ে ঘূর্ণি ¯্রােত কেবল পাক খাচ্ছে এবং নদীতে প্রচুর গভীর।আমরা বিষয়টি পৌর মেয়রকে জানিয়েছি। সুজিত রায় নন্দী নিজে এসে দেখে গেছেন। ডা.দীপু মনিএমপি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিতে কথা বলেছেন ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বরাদ্দ কম থাকায় আমরা সংরক্ষণ কাজ করাতে পারছি না। জরুরি ভিত্তিতে সাখুয়া হতে স্টকে থাকা আমাদের ব্লকের কিছু অংশ এনে আপাতত ভাঙ্গন ঠেকাতে ব্লক ফেলার ব্যবস্থা করেছি।

পাউবোর জরুরি মেরামত কাজের নিয়োজিত সহকারী হুমায়ুন কবির চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘গত দুইদিনে ১২০ টি করে ৩৬০টি ব্লক ভাঙ্গন স্থানে ফেলা হয়েছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে হরিসভা মাস্টার বাড়ি ও সহদেব সাহার বাড়ি সংলগ্ন শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় এক’শ মিটার এলাকা জুড়ে ব্লকবাঁধ মেঘনা নদীতে ধসে পড়তে দেখে মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আবারো নদী ভাংছে এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদন- চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার অংশে ধস!

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম