সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরেও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার চাঁদপুরের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো সন্তোসজনক ফলফাল অর্জন করেছে।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, চাঁদপুরে শীর্ষস্থানে থাকা শহরের ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফলাফলের মধ্যে প্রথমে রয়েছে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের সর্বমোট ২৫৭জন পরিক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ কৃতকার্য হয়। পাশের হার শতভাগ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯৩ জন। এছাড়া এ-গ্রেড পেয়েছে ১২৫ জন।
২য় স্থানে থাকা মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর সর্বমোট ২৮০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ২৭৮জন এবং অকৃতকার্য হয় ০২ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০২টি। এছাড়া এ গ্রেড পেয়েছে ১৭৬। পাশের হার ৯৯ দশমিক ২৯ শতাংশ।
৩য় স্থানে থাকা আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবছর সর্বমোট ৫৯৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৫৭০জন এবং অকৃতকার্য হয় ২২জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১৮ জন। এছাড়া এ গ্রেড পেয়েছে ২৫০ জন। পাশের হার ৯৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
পুরাণবাজার মধূসুধন উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৮২
চাঁদপুর শহেরর পুরাণবাজার মধূসুধন উচ্চ বিদ্যালয়ে এবছর সন্তোসজনক ফলাফল অর্জন করেছে। এবছর বিদ্যালয়টি থেকে সর্বমোট ১৬৯ জন পরিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে কৃতকার্য হয় ১৪০জন এবং অকৃতকার্য হয় ১৯জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। এরা হলেন শারমিন আক্তার ও শরীফ সরকার। এছাড়া এ-গ্রেড পেয়েছে ৩৩ জন। এ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৮২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গনেষ চন্দ্র দাস বলেন, এই ফলাফলে আমি সন্তুষ্ট নই। আমি এবর আরো ভালো ফলাফল আশা করেছিলাম। ফলাফলের বিষয়ে আমরা মিটিং করে সিদ্ধা আগামী দিনের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
পুরাণবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৮৬
চাঁদপুর পুরাণবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত বছরের তুলনায় এবার কিছুটা ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। এবছর বিদ্যালয়টি থেকে সর্বমোট ৬৪ জন পরিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে কৃতকার্য হয় ৬২জন এবং অকৃতকার্য হয় ২জন, আর জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী হলেন নুশরাত আক্তার। ফলাফলের বিষয়ে তাৎক্ষণিক পতিক্রিয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলাফল হয়েছে ঠিক তবে আমরা আরো ভালো ফলাফল আশা করেছিলাম। তবে এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমী বছরে আরো ভালো করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ফরাক্কাবাদ উবি’তে পাশের হার ৯৪ : জিপিএ ২৩টি
চাঁদপুর সদর উপজেলার ফরাক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এবছরও সন্তোসজনক ফলাফলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। তবে এই প্রতিষ্ঠান থেকে এবার সর্বোচ্চ ২৩জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এবার বিদ্যালয়টি থেকে সর্বমোট ১৭৯ জন পরিক্ষার্থী অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ১৭০জন এবং অকৃতকার্য হয় ৯জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ জন এবং এ-গ্রেড পেয়েছে ৪৬জন। এ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৯৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এছাড়াও বিদ্যালয়ে কারিগরী বিভাগ থেকে এবছর ৬৭জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৬৬জন কৃতকার্য হয়েছে। তাৎক্ষণিক পতিক্রয়ায় পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন হাওলাদা বলেন, ফলাফল নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের উপর। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে পাঠদান করি। প্রাপ্ত ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট। তবে আরো ভালো হলে আমরা পরিপূর্ণ সন্তুষ্ট হতাম। তবে আমরা চেষ্টা করবো আগামীতে আরো ভালো ফলাফল অর্জন করতে।
বালিয়া আদর্শ উবি’তে পাশের হার ৯৮: জিপিএ ১৪টি
চাঁদপুর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বালিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পূর্বের ধারা অব্যাহত রেখেছে। গ্রামিণ আবহয়ে গড়ে উঠা এই প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা সন্তোসজনক ফলাফল অর্জন করেছে। এবার বিদ্যালয়টি থেকে সর্বমোট ১৬৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ১৬২জন এবং অকৃতকার্য হয় মাত্র ২জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ এবং এ-গ্রেড পেয়েছে ৩৩জন। এ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৯৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৪জন শিক্ষার্থী হলেন, আবুবকর, জাহিদ হাসান, কাউছার হোসেন, প্রিয়াংকা রাণী, নুরুন্নাহার, মতিয়া গাজী, তাসলিমা আক্তার, রাবেয়া আক্তার, জেরিন ফারিয়া, খাদিজা আক্তার হোছনা আক্তার, মিলি গাজী। পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বেপারী মহান আল্লার রহমতে এবং বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষক, ম্যানিজিং কমিটি এবং অভিভাবকদের সার্বিক চেষ্টায় আমরা এবছরও পূর্বের ধারা অব্যাহত রেখেছি। এবারের ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট তবে আরো ভালো ফলাফল হলে বেশী খুশি হতাম।
চান্দ্রা বাজার ইয়াকুব আলী স্মরক উবি’তে পাশের হার ৯৬
চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা বাজার ইয়াকুব আলী স্মরক উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করেছে। তবে এবছর তাদের প্রত্যাশা আরো বেশী ছিলো বলে জানায় প্রধান শিক্ষক। ২০১৮ সনের এসএসসি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয় থেকে সর্বমোট ২৪৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে কৃতকার্য হয় ২৩৪ জন এবং অকৃতকার্য হয় মাত্র ৯জন। এছছর এ বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩জন এবং এ-গ্রেড পেয়েছে ৭৬জন। এ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৯৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা হলেন মেহেদী হাসান, জুবায়ের হোসেন ও ইমাম হোসেন। পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আওলাদ হোসেন বলেন, যে ফলাফল আমরা পেয়েছি তা গত বছরের তুলনায় ভালো। এত এই ফলাফলে আমরা কিছুটা সন্তুষ্ট হলেও আরো ভালো ফলাপল আশা করছি।
প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম