Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় এসএসসিতে এ প্লাস ১৩৫ : পাসের হার ৭৪ ভাগ
Kachua-Pilot
কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়

কচুয়ায় এসএসসিতে এ প্লাস ১৩৫ : পাসের হার ৭৪ ভাগ

সদ্য প্রকাশিত কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে কচুয়া উপজেলার ৪২টি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৯টি কেন্দ্রে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ৪ হাজার ৪’শ ৭জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছে।

পাস করেছে ৩ হাজার ২’শ ৭৩জন। তন্মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০জন। শতকরা পাসের হার ৭৪.৪২। একটি প্রতিষ্ঠান থেকেও শতভাগ উত্তীর্ণ হয়নি।

জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ফলাফলের শীর্ষে রয়েছে। এ বিদ্যালয় থেকে ২’শ ১৪জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ১’শ ৮৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬জন।

শতকরা পাসের হার ৮৭.৮৫। বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। এছাড়া ভোকেশনালে কারিগরি শাখায় সাচার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭৪জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়।

তারমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন। তেগুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭৮জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৭৪জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮জন। শতকরা পাশের হার ৯৪.৮৭।

এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে উপজেলার ৩৫টি মাদ্রাসা থেকে ৩টি কেন্দ্রে ১ হাজার ২’শ ৫৩জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছে।

পাস করেছে ১ হাজার ১’শ ৪৫জন। তন্মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫জন। শতকরা পাশের হার ৯১.৩৮। তন্মধ্যে ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। শতভাগ প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- গোহট লতিফিয়া এনামিয়া মহিলা মাদ্রাসা, বিতারা আলিম মাদ্রাসা, মাঝিগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, খিলমেহের আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, আল ফাতেহা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, সাচার ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা, গাউছিয়া সোবহানীয় দাখিল মাদ্রাসা, গবরখোলা আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা ও কাদলা খাদিজাতুল কোবরা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা।

অন্যদিকে মাদ্রাসা পর্যায়ে এ বছর ফতেহপুর ওল্ড স্কীম দাখিল মাদ্রাসাটি ফলাফলে ভরাডুবি হয়েছে। এ মাদ্রাসা থেকে ২১জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে পাস করেছে ১৩ জন। স্থানীয়রা জানিয়েছে, বর্তমান সুপার এবিএসএম আব্দুল্লাহ ও বর্তমান পরিচালনা কমিটির অদক্ষতার কারণেই এ বছর দাখিল পরীক্ষায় ফলাফলে এমন বিপর্যয় হয়েছে বলে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু মাদ্রাসা সুপার এবিএসএম আব্দুল্লাহ এমন অভিযোগ নাকোচ করে বলেন, মাদ্রাসায় ৬জন শিক্ষকের শূণ্যপদ রয়েছে। ৫জন খন্ডকালিন শিক্ষক দিয়ে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছি।

তিনি জানান, ২০১২ ও ২০১৩ সালে মাদ্রাসাটি শতভাগ উত্তীর্ণ হয়।

প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু

Leave a Reply