Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরের এই কমপ্লেক্স হবে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা : মায়া
চাঁদপুরের এই কমপ্লেক্স হবে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা : মায়া

চাঁদপুরের এই কমপ্লেক্স হবে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা : মায়া

চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর রোববার দুপুরে শহরের মাদ্রাসা রোড নিশি বিল্ডিং এলাকায় স্থাপন হয়েছে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনপূর্ব আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডলের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদিয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি এমপি, পুলিশ সুপার, সামসুন্নাহার, পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর নিয়মেই আমাদের চলে যেতে হবে। এমন একটা সময় আসবে যখন কোনো এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেই সময়টা অতি নিকটে। আমাদের অনেক ভাই মৃত্যুবরণ করছে। একটা সময় ছিলো যখন মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ণ করা হতো না। আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু করি তখন আমাদের জীবনের কোনো মায়া ছিলো না। মুুক্তিযোদ্ধারা স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবা ফেলে দিন-রাত মাঠে-ময়দানে জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন। আর সেই মুক্তিযোদ্ধাদের যথ্যাযোগ্য মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।’

তিনি আরো বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনো সরকার নেই যে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব নিয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কষ্টকে নিজের কষ্ট হিসেবে ধরে নিয়েছেন। ব্যবসা করার জন্য এই কমপ্লেক্স না। এই কমপ্লেক্স মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি থাকবে। যেখানেই আপদ, যেখানেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কার্যকলাপ সেখানেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, এখানে মুক্তিযোদ্ধারে জন্য যে কমপ্লেক্স ভবন করা হচ্ছে। ছোট্ট পরিসরে হলেও এখানে একটি জাদুঘর থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ ও লালন করার জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এ ধরনের কমপ্লেক্স করা হবে। এখানে যে ভবন করা হয়েছে তার ডিজাইনে দেখা গেছে ৩য় তলায় সকল মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস কক্ষ। অথচ তাদের উপরের তলায় উঠার জন্য কোনো লিফ্ট নেই। যাদের জন্য এই ভবন করা হয়েছে তাদের অধিকাংশ বৃদ্ধা। হয়তো আগামী কয়েক বছর পরে তারা আর হাঁটাচলা করতে সমস্যার সম্মুখিন হবে না। আমি অনুরোধ করবো এখানে যাতে লিফটের ব্যাবস্থা রাখা হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।’

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ।

এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারী, সদর থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আবুল কালাম চিশতিসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।

আশিক বিন রহিম, চীফ করেসপন্ডেন্ট

।। আপডেট : ০২:০০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫, রোববার

ডিএইচ/এমআরআর