Home / ফিচার / ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’
মার্জিন
মাদক ধ্বংসের ফাইল ছবি

‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৪৬ লাখ। আসক্তদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ। অধিদপ্তরের জরিপে বলা হয়,আসক্তদের শতকরা ৯১ ভাগ কিশোর ও তরুণ। মাদকাসক্তদের শতকরা ৪৫ ভাগ বেকার এবং ৬৫ ভাগ আন্ডার গ্র্যাজুয়েট। মাদকাসক্তের ১৫ ভাগ উচ্চ শিক্ষা।

ফ্যামেলি হেলথ ইন্টারন্যাশনালের পৃথক পরিসংখ্যান সূত্রে জানা যায়, দেশে সুই-সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদকসেবির সংখ্যা প্রায় এক লাখ। এ মাদকাসক্তরা শিরায় মাদক গ্রহণ কারায় এইচআইভি ঝুঁকির মধ্যে বেশি থাকে ।

আইন-শৃংখলা বাহিনীর কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,অবৈধ মাদক আমদানির জন্য প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি দেশি মুদ্রা পাচার হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব তামাক দিবস উদযাপনকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন,‘ধূমপান ৮ শতাংশ কমলেও ইয়াবা আসক্তি বেড়েছে। দেশে ৬০-৭০ লাখ ইয়াবা আসক্ত। প্রতি বছর দেড় লাখ লোক তামাক দ্রব্য সেবনে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। দেশে মাদকসেবকের চিকিৎসার কোনোই পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন সংগঠন দাবি করেছে-তামাক ও মাদক সেবনে নারীর সংখ্যা বাড়ছে ভয়ানক হারে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে,বাংলাদেশে ৪৩ % মানুষ মাদকে আসক্ত তাদের ২০ % নারী। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সিরজুল হক জানান, ২০০৯ সালের হিসেব মতে ৪৩ % মানুষ ধূমপান করেন। ২০১৭ সালে তা ৩৫ % কমে এসেছে।

হু’এর জরিপ মতে ‘ সবচেয়ে কম দামে সিগারেট পাওয়া যায়। এমন ৩ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। ৪৩ % হারে দেশে প্রায় ৪ কোটি মানুষ সিগারেট ও ধোঁয়াবিহীন তামাক বা অন্যান্য তামাক পণ্যে আসক্ত।’

যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা আই.এইচ.এম এর মতে,২০০৫ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বাংলাদেশে অকাল মৃত্যুর তালিকায় হৃদরোগের সপ্তম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে নেমে এসেছে।

২২ মে ২০১৮ প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার তথ্য মতে, দেশে মাদকসেবীর কোনো সরকারি পরিসংখ্যান নেই। বেসরকারিভাবে ৭০ লাখের ওপর হবে। এর মধ্যে ৫০ লাখের মত ইয়াবা আসক্ত। এ হিসেবে সর্বপ্রথম সমর্থন করেছেন মাদক দ্রব্যে নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.জামালউদ্দিন আহমেদ।

‘চলো যাই যুদ্ধে,মাদকের বিরুদ্ধে ’এ শ্লোগান নিয়ে মাঠে নামার আগে প্রধানমন্ত্রী র‌্যাব হেড কোয়ার্টারে র‌্যাব সদস্যদের সাথে মত বিনিময়কালে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার মতো মাদকের বিরুদ্ধেও এ অভিযান চালানো নির্দেশ প্রদান করেন।

তিনি আরো বলেন,‘ মাদক যারা তৈরি করে,যারা বিক্রি করে,যারা পরিবহন করে-যারা সেবন করে – সকলেই সমানভাবে দোষী।’ ১১ মে ২০১৮ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সভায় র‌্যাবসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীকে মাদক,সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন।’ ৩১ মে ২০১৮ প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বলেন,‘আজকেই যেখানে মাদক সেবন সেখানেই অভিযান চলবে। আমি এটার পুনরাবৃত্তি চাই না।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দেশবাসীকে সাথে নিয়েই মাদকমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠা করব।’ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এ্যাডমিরাল এএমএম আরঙ্গজেব চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘মাদকের বিষয়ে জিরু টলার‌্যান্স। এরপর সকল আইন-শৃংখলা বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনায় নামেন। ’

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ১৪ মে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই মাদক নির্র্মূলে মাঠে নেমেছেন। ‘ র‌্যাবের মহাপরিচালক দৃপ্তকন্ঠে বলেন,‘মাদকসেবীরা মাদক ছেড়ে দেবেন এবং বিক্রেতা বিক্রি বন্ধ করবেন। এছাড়া মাদকের ডিলার, মজুদকারী, পরিবহনকারী, চোরাচালানকারীরা স্ব-স্ব এ অপেশা নিজ থেকে ত্যাগ করবেন।’

তিনি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে আরো বলেছেন,‘ র‌্যাব মাদকের বিরুদ্ধে আইনের কঠোরতম প্রয়োগে অবিচল।’ তিনি দেশের সকল মানুষকে তথা সুশীলসমাজ,সাহিত্যিক,শিল্পী,ফেসবুকব্যবহারকারী ও সকল সোশ্যাল মিডিয়া এবং সকল গণমাধ্যমকর্মীদেরকে মাদকের বিরুদ্ধে এ অভিযাত্রার উদ্যোগে সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানান। তিনি সকল প্রকার ব্যাংক বীমা,আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিল্পপতি, সামাজিক ব্যক্তিদের এ সামাজিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে মাদক বিরোধী প্রচার প্রচারণায় নিজেদের অংশ নেয়ার কথা বলেছেন।’

২০ মে ২০১৮ রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকার গুলিস্থানে বলেছেন,‘ মাদকবিরোধী অভিযানে সরকার কাউকে ছাড় দেবে না। ’প্রধানমন্ত্রী ঐদিনই গণভবনে বলেন,‘ আমরা যেমন জঙ্গিবাদ দমন করেছি,মাদক থেকেও দেশকে মুক্ত করব।’

২৮ মে ২০১৮ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন ,‘যতদিন মাদক,ততদিন অভিযান। সরকার মাদক নির্মূলে জিরো টলার‌্যান্স নীতি গ্রহণ করেছেন। যার ফলে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারীরা মাদক নির্মূলে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।’

চলো যাই যুদ্ধে,মাদকের বিরুদ্ধে

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আজ বুধবার (২৬ জুন) পালিত হচ্ছে বিশ্ব মাদকমুক্ত দিবস। মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসটি সারাবিশ্ব জুড়েই পালিত হচ্ছে।

আধুনিক সভ্যতার ক্ষেত্রে মাদক একটি নতুন অভিশাপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর নীল ছোবলে-ধ্বংস হচ্ছে আমাদের দেশের লাখ লাখ তরুণ-তরুণীর জীবন। মাদকের নেশা খুব দ্রুত আসক্ত করছে তরুণ সমাজকে। ইতোমধ্যেই পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার হলো উৎপাদনকারী দেশ আর ব্যবহারকারী হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছে। যা ভাবতে অবাক লাগছে।

মাদকের ছোবল যেভাবে ছড়াচ্ছে এর নির্মূল ছাড়াও কোনোই গতান্তর এখন নেই। মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব আমাদের দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায়, ইউনিয়নে ইউনিয়নে যেভাবে প্রবেশ করছে তা কল্পনাতীত ।

মাদকের ভয়াবহতা ও অপব্যবহার রোধে বা মাদক নির্মূল করতে আমাদের দেশে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর অন্যতম হলো র‌্যাব।

২০ মে ২০১৮ ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ এ শ্লোগানে র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনী সাঁড়াশী অভিযানে নেমেছে। প্রতিবছরই ২৬ জুন বিশ্ব মাদকমুক্ত দিবস পালিত হয়। মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসটি সারা বিশ্ব জুড়েই পালিত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে দিবসটি। দিবসটিকে সামনে রেখে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার জরিপে বাংলাদেশে মাদকাসক্তের উদ্বেগজনক একটি চিত্র বেরিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশের মাদক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের একটি জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে কমপক্ষে ৭০ লাখ মানুষ সরাসরি মাদকাসক্ত। এদের মধ্যে ৮৬ % পুরুষ আর ১৩ % নারী। আরো জানা যায়, এক লাখেরও বেশি মানুষ নানাভাবে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রভাবশালী ব্যক্তি থেকে শুরু করে নারী এবং শিশু-কিশোররাও জড়িত মাদক ব্যবসার সঙ্গে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৪৬ লাখ। আসক্তদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ। অধিদপ্তরের জরিপে বলা হয়,আসক্তদের শতকরা ৯১ % কিশোর ও তরুণ। মাদকাসক্তদের শতকরা ৪৫ % বেকার এবং ৬৫ % আন্ডার গ্র্যাজুয়েট। মাদকাসক্তের ১৫ % উচ্চ শিক্ষা।

ফ্যামেলি হেলথ ইন্টারন্যাশনালের পৃথক পরিসংখ্যান সূত্রে জানা যায়, দেশে সুই-সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদকসেবির সংখ্যা প্রায় এক লাখ। এ মাদকাসক্তরা শিরায় মাদক গ্রহণ কারায় এইচআইভি ঝুঁকির মধ্যে বেশি থাকে ।

আইন-শৃংখলা বাহিনীর কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,অবৈধ মাদক আমদানির জন্য প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি দেশি মুদ্রা পাচার হয়ে যাচ্ছে।

বিশ্ব তামাক দিবস উদযাপনকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন,‘ধূমপান ৮ শতাংশ কমলেও ইয়াবা আসক্তি বেড়েছে। দেশে ৬০-৭০ লাখ ইয়াবা আসক্ত। প্রতি বছর দেড় লাখ লোক তামাক দ্রব্য সেবনে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। দেশে মাদকসেবকের চিকিৎসার কোনোই পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন সংগঠন দাবি করেছে-তামাক ও মাদক সেবনে নারীর সংখ্যা বাড়ছে ভয়ানক হারে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে,বাংলাদেশে ৪৩ % মানুষ মাদকে আসক্ত তাদের ২০ % নারী। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সিরজুল হক জানান, ২০০৯ সালের হিসেব মতে ৪৩ % মানুষ ধূমপান করেন। ২০১৭ সালে তা ৩৫ % কমে এসেছে।

হু’এর জরিপ মতে ‘ সবচেয়ে কম দামে সিগারেট পাওয়া যায়। এমন ৩ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। ৪৩ % হারে দেশে প্রায় ৪ কোটি মানুষ সিগারেট ও ধোঁয়াবিহীন তামাক বা অন্যান্য তামাক পণ্যে আসক্ত।’

যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা আই.এইচ.এম এর মতে,২০০৫ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বাংলাদেশে অকাল মৃত্যুর তালিকায় হৃদরোগের সপ্তম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে নেমে এসেছে।

২২ মে ২০১৮ প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার তথ্য মতে, দেশে মাদকসেবীর কোনো সরকারি পরিসংখ্যান নেই। বেসরকারিভাবে ৭০ লাখের ওপর হবে। এর মধ্যে ৫০ লাখের মত ইয়াবা আসক্ত। এ হিসেবে সর্বপ্রথম সমর্থন করেছেন মাদক দ্রব্যে নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.জামালউদ্দিন আহমেদ।

‘চলো যাই যুদ্ধে,মাদকের বিরুদ্ধে ’এ শ্লোগান নিয়ে মাঠে নামার আগে প্রধানমন্ত্রী র‌্যাব হেড কোয়ার্টারে র‌্যাব সদস্যদের সাথে মত বিনিময়কালে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার মতো মাদকের বিরুদ্ধেও এ অভিযান চালানো নির্দেশ প্রদান করেন।

তিনি আরো বলেন,‘ মাদক যারা তৈরি করে,যারা বিক্রি করে,যারা পরিবহন করে-যারা সেবন করে – সকলেই সমানভাবে দোষী।’ ১১ মে ২০১৮ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সভায় র‌্যাবসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীকে মাদক,সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন।’

৩১ মে ২০১৮ প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বলেন,‘আজকেই যেখানে মাদক সেবন সেখানেই অভিযান চলবে। আমি এটার পুনরাবৃত্তি চাই না।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন,‘মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দেশবাসীকে সাথে নিয়েই মাদকমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠা করব।’

কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এ্যাডমিরাল এএমএম আরঙ্গজেব চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘মাদকের বিষয়ে জিরু টলার‌্যান্স। এরপর সকল আইন-শৃংখলা বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনায় নামেন। ’

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ১৪ মে ২০১৮ সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই মাদক র্নির্মূলে মাঠে নেমেছেন। ‘ র‌্যাবের মহাপরিচালক দৃপ্তকন্ঠে বলেন,‘মাদকসেবীরা মাদক ছেড়ে দেবেন এবং বিক্রেতা বিক্রি বন্ধ করবেন। এছাড়া মাদকের ডিলার, মজুদকারী, পরিবহনকারী, চোরাচালানকারীরা স্ব-স্ব এ অপেশা নিজ থেকে ত্যাগ করবেন।’

তিনি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে আরো বলেছেন,‘ র‌্যাব মাদকের বিরুদ্ধে আইনের কঠোরতম প্রয়োগে অবিচল।’ তিনি দেশের সকল মানুষকে তথা

সুশীলসমাজ,সাহিত্যিক,শিল্পী,ফেসবুকব্যবহারকারী ও সকল সোশ্যাল মিডিয়া এবং সকল গণমাধ্যমকর্মীদেরকে মাদকের বিরুদ্ধে এ অভিযাত্রার উদ্যোগে সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানান। তিনি সকল প্রকার ব্যাংক বীমা,আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিল্পপতি, সামাজিক ব্যক্তিদের এ সামাজিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে মাদক বিরোধী প্রচার প্রচারণায় নিজেদের অংশ নেয়ার কথা বলেছেন।’

২০ মে ২০১৮ রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকার গুলিস্থানে বলেছেন,‘ মাদকবিরোধী অভিযানে সরকার কাউকে ছাড় দেবে না। ’প্রধানমন্ত্রী ঐদিনই গণভবনে বলেন,‘ আমরা যেমন জঙ্গিবাদ দমন করেছি,মাদক থেকেও দেশকে মুক্ত করব।’

২৮ মে ২০১৮ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন ,‘যতদিন মাদক,ততদিন অভিযান। সরকার মাদক নির্মূলে জিরো টলার‌্যান্স নীতি গ্রহণ করেছেন। যার ফলে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারীরা মাদক নির্মূলে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।’

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক বলেছেন, ‘এখন ইয়াবার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ইয়াবা ট্যাবলেট ধোঁয়ার সঙ্গে নিয়ে নেশায় আচ্ছন্ন হয় মাদকসেবীরা। এ ইয়াবা তরুণদের আসক্ত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি করেছে।বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ইয়াবা মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে।’

৩০ মে ২০১৮ চলমান মাদকবিরোধী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বার্ণিকাট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর বলেন,‘ মাদক কোথা থেকে আসে তার উৎস খুঁজে তা’ বন্ধ করতে হবে।’

মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে যতদূর জানা গেছে- পৃথিবীর শতাধিক দেশের ৫০-৬০ কোটি মানুষ মাদকে আসক্ত বলে বিশ্ব স্বাস্থা সংস্থা জানায়। ৩৬ টি দেশে অধিক ক্ষতিকর মাদক উৎপাদন করলে তা ’ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে শতাধিক দেশকে মাদকের লীলাভূমি হিসেবে পরিণত করেছে।

চিকিৎসকদের মতে,বর্তমানে বাংলাদেশ মাদকের সংখ্যা ৫০ লাখের ও বেশি। আর আসক্তের মধ্যে বেশি হলো মহিলা। স্বাধীনতার কয়েক বছর পর থেকেই বাংলাদেশে মাদক ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। এ গুলোর মধ্যে রয়েছে গাঁজা, চরস,হাসিস, হেরোইন, কোকেন, ইয়াবা, পেনসিডিল ইত্যাদি।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রচারিত একটি পোস্টারে জানা গেছে, গাঁজা,ফেনসিডিল,হেরোইন,মদ,ইয়াবা ও সিগারেট ইত্যাদি ক্ষতিকর মাদকে মানুষের দেহে ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যে রয়েছে-ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা হ্রাস, দৃষ্টি ও মতক্রম,সিজোক্রোনিয়া রোগের সৃষ্টি,হার্ট ও ফুসফুসে প্রদাহ স্বাস্থ্যের অবনতি, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, লিভার সিরোসিস ও ক্যান্সার রোগের উৎপত্তি, স্মরণশক্তি ও মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়, অস্বাভাবিক আচরণ, যৌনক্ষমতা হ্রাস, মানসিক সমস্যা ইত্যাদি জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।

এতো কিছুর পরও একশ্রেণির মানুষ বা যুবসমাজ এর প্রতি আসক্ত হচ্ছে। যাহা আমাদের দেশের জন্য অভিশাপ। সরকার মাদক দ্রব্যে উৎপাদন,আমদানি,বিক্রয় ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে এবং এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করেছেন।

সরকারের আইন-শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ছাত্র শিক্ষক,অভিভাবক, ব্যাংকার,কৃষক,মজুর,রাজনীতিবিদসহ সকল পেশাজীবিকে মাদকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে মাদক নির্মূলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তা নাহলে এর খেসারত আপনার,আমার সকলকেই গুণতে হবে। যুব সমাজ ধবংস হবে এবং সামাজিক মূল্যবোধ ভুলুন্ঠিত হবে। মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্তদের সঠিক তথ্য প্রদানে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে সহায়তা করতে হবে।

যতদূর জানা গেছে, দেশে যতগুলো স্থলবন্দর রয়েছে-এর মধ্যে বার্মার সীমান্তে দু’টো বন্দর রয়েছে।এর একটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বেসরকারি ভাবে নিয়ন্ত্রণ স্থলবন্দরটিতে সরকারের শতভাগ নিয়ন্ত্রণ এনে মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে।

আইন-শৃংখলা বাহিনীর কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অবৈধ মাদক আমদানির জন্য প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি দেশি মুদ্রা পাচার হচ্ছে।

ফ্যামেলি হেলথ ইন্টারন্যাশনালের পরিসংখ্যানে বলা হয়, প্রতি বছর পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে প্রায় ৩৪৭ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য আমাদের দেশে আসে। এরমধ্যে শুধু ফেন্সিডিলই আসে ২২০ কোটি টাকার। ৬০ % মাদকাসক্ত মাদকের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা-ে।

একটি গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর যে পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য দেশে ঢুকছে তার ১০ % উদ্ধার সম্ভব হয়।

মূলত: পার্শ্ববর্তী দেশ থেকেই আসছে মাদকের বড় বড় চালান। বিডিআর-এর একটি সূত্রে জানা যায়, বিস্তীর্ণ সীমান্তের ৫১২টি পয়েন্টকে মাদক আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহার করে চোরাচালানীরা। এসব পয়েন্টে বিডিআর এর বিশেষ নজরদারি থাকা সত্ত্বেও রাত-দিন আসছে হেরোইন, আফিম, প্যাথেড্রিন, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক।

মাদকের অপতৎপরতয় দেশপ্রেমিক নাগরিকরা আজ হতবাক। কেননা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে ।

র‌্যাব,কোস্টগার্ড,পুলিশ,ডিবি,প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীগণ সর্বদাই সরকারি অন্যান্য কর্মকান্ডের পাশাপাশি মাদকবিরোধী অভিযানে সর্বক্ষণিক নজর রাখতে হচ্ছে। মাদক বিস্তার রোধ,মাদকসেবীদের অপতৎপরতা রোধে সমাজের বিভিন্ন পেশাজীদের আজ উদ্ভিগ্ন থাকতে হচ্ছে।

এটা একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে কারো কাম্য হতে পারে না। যেখানে আমরা দেশ ও মানুষের উন্নয়ন কথা ভাববো,শিক্ষার কথা ভাববো কৃষি উৎপাদন ও জলবায়ুর পরিবর্তনের কথা ভাববো – সেখানে মাদক আমাদের পিছু টানছে,উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থকরছে। জাতীকে পিছিয়ে দিচ্ছে।

তরুণ-তরুণীদের মেধা মনন ও স্বাধীন স্বকীয়তা ধ্বংস করছে। হতাশা,উদ্ভিগ্নতা ও অস্বস্থিরতা বাড়িয়ে দিচ্ছে মাদকের চোরাকারবারী রা। যেখানে দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা উন্নয়নের রূপরেখা নিয়ে এগিয়ে যাবো সেখানে মাদক নির্মূলে সময় ও অর্থ অপচয় করে দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছি। সুতরাং মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। মাদকের বিরুদ্ধে লড়বো আমরা একসাথে ।

প্রতিবেদক : আবদুল গনি,সহ-সম্পাদক, চাঁদপুর টাইমস। ২৫ জুন ২০১৯

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক জামালউদ্দিন আরো বলেছেন,‘এখন ইয়াবার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ইয়াবা ট্যাবলেট ধোঁয়ার সঙ্গে নিয়ে নেশায় আচ্ছন্ন হয় মাদকসেবীরা। এ ইয়াবা তরুণদের আসক্ত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি করেছে।বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ইয়াবা মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে।’

৩০ মে ২০১৮ চলমান মাদকবিরোধী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বার্ণিকাট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর বলেন,‘ মাদক কোথা থেকে আসে তার উৎস খুঁজে তা ’ বন্ধ করতে হবে।’মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে যতদূর জানা গেছে- পৃথিবীর শতাধিক দেশের ৫০-৬০ কোটি মানুষ মাদকে আসক্ত বলে বিশ্ব স্বাস্থা সংস্থা জানায়। ৩৬ টি দেশে অধিক ক্ষতিকর মাদক উৎপাদন করলে তা ’ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে শতাধিক দেশকে মাদকের লীলাভূমি হিসেবে পরিণত করেছে।

চিকিৎসকদের মতে,বর্তমানে বাংলাদেশ মাদকের সংখ্যা ৫০ লাখের ও বেশি। আর আসক্তের মধ্যে বেশি হলো মহিলা। স্বাধীনতার কয়েক বছর পর থেকেই বাংলাদেশে মাদক ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। এ গুলোর মধ্যে রয়েছে গাঁজা,চরস,হাসিস,হেরোইন,কোকেন,ইয়াবা,পেনসিডিল ইত্যাদি।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রচারিত একটি পোস্টারে জানা গেছে, গাঁজা,ফেনসিডিল,হেরোইন,মদ,ইয়াবা ও সিগারেট ইত্যাদি ক্ষতিকর মাদকে মানুষের দেহে ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যে রয়েছে-ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা হ্রাস, দৃষ্টি ও মতক্রম,সিজোক্রোনিয়া রোগের সৃষ্টি,হার্ট ও ফুসফুসে প্রদাহ স্বাস্থ্যের অবনতি, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, লিভার সিরোসিস ও ক্যান্সার রোগের উৎপত্তি, স্মরণশক্তি ও মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়, অস্বাভাবিক আচরণ, যৌনক্ষমতা হ্রাস, মানসিক সমস্যা ইত্যাদি জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।

এতো কিছুর পরও একশ্রেণির মানুষ বা যুবসমাজ এর প্রতি আসক্ত হচ্ছে। যাহা আমাদের দেশের জন্য অভিশাপ। সরকার মাদক দ্রব্যে উৎপাদন,আমদানি,বিক্রয় ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে এবং এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করেছেন।

সুতরাং এ সরকার আইন-শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ছাত্র শিক্ষক,অভিভাবক, ব্যাংকার,কৃষক,মজুর,রাজনীতিবিদসহ সকল পেশাজীবিকে মাদকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে মাদক নির্মূলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তা নাহলে এর খেসারত আপনার,আমার সকলকেই গুণতে হবে। যুব সমাজ ধবংস হবে এবং সামাজিক মূল্যবোধ ভুলুন্ঠিত হবে। মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্তদের সঠিক তথ্য প্রদানে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে সহায়তা করতে হবে।

যতদূর জানা গেছে, দেশে যতগুলো স্থলবন্দর রয়েছে-এর মধ্যে বার্মার সীমান্তে দু’টো বন্দর রয়েছে।এর একটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বেসরকারি ভাবে নিয়ন্ত্রণ স্থলবন্দরটিতে সরকারের শতভাগ নিয়ন্ত্রণ এনে মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে।

মাদকের অপতৎপরতয় দেশপ্রেমিক নাগরিকরা আজ হতবাক। কেননা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। র‌্যাব,কোস্টগার্ড,পুলিশ,ডিবি,প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীগণ সর্বদাই সরকারি অন্যান্য কর্মকান্ডের পাশাপাশি মাদকবিরোধী অভিযানে সর্বক্ষণিক নজর রাখতে হচ্ছে। মাদক বিস্তার রোধ,মাদকসেবীদের অপতৎপরতা রোধে সমাজের বিভিন্ন পেশাজীদের আজ উদ্ভিগ্ন থাকতে হচ্ছে।

এটা একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে কারো কাম্য হতে পারে না। যেখানে আমরা দেশ ও মানুষের উন্নয়ন কথা ভাববো,শিক্ষার কথা ভাববো কৃষি উৎপাদন ও জলবায়ুর পরিবর্তনের কথা ভাববো – সেখানে মাদক আমাদের পিছু টানছে,উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থকরছে। জাতীকে পিছিয়ে দিচ্ছে।

তরুণ-তরুণীদের মেধা মনন ও স্বাধীন স্বকীয়তা ধ্বংস করছে। হতাশা,উদ্ভিগ্নতা ও অস্বস্থিরতা বাড়িয়ে দিচ্ছে মাদকের চোরাকারবারী রা। যেখানে দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা উন্নয়নের রূপরেখা নিয়ে এগিয়ে যাবো সেখানে মাদক নির্মূলে সময় ও অর্থ অপচয় করে দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছি। সুতরাং মাদকে রুখতেই হবে। মাদকের বিরুদ্ধে লড়বো আমরা একসাথে ।

প্রতিবেদক : আবদুল গনি সহ-সম্পাদক,চাঁদপুর টাইমস
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭:৩৫ পিএম, ২৬ জুন ২০১৮, বুধবার
এজি

Leave a Reply