Home / শিক্ষাঙ্গন / গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল হলেও চাঁদপুরের স্কুল গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম
উপস্থিতি

গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল হলেও চাঁদপুরের স্কুল গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম

চাঁদপুরের বেশ ক’টি মাধ্যমিক স্কুলে শরেজমিন প্রত্যক্ষ ও ছুটির সময় লক্ষ্য করা গেছে- গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল হলেও চাঁদপুরের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম । অপরদিকে শিক্ষকগণও ক্লাস নেয়ার প্রবণতা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকায় ক্লাশ জমছেনা । কেননা – অধিকাংশ অভিভাবক শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বর্ষপুঞ্জিতে ২০ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত আশুরা,হিজরি নববর্ষ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির ছক অনুয়ায়ী তারা- তাদের সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে চলে গেছে । ফলে প্রায়ই অধিকাংশ শিক্ষার্থী   স্কুলে নেই ।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সংগ্রাম কমিটির সদস্য-সচিব প্রধানশিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন ২৫ জুলাই দুপুরে জানান – শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বর্ষপুঞ্জিতে ২০ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত আশুরা,হিজরি নববর্ষ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির শুরুর দিনই সরকারিভাবে বন্ধ বাতিল করে স্কুলে উপস্থিত থাকতে শিক্ষার্থীদের প্রতি নির্দেশনাটি অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ জানাতে পারে নি। তাই স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। শহরের স্কুলগুলোতে উপস্থিতি কিছুটা হলেও জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত  গ্রামের স্কুলের  শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। অন্যদিকে দেশের সব জেলার শিক্ষকদের সাথে চাঁদপুরের শিক্ষকগণ মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনমুখী হওয়ায় শিক্ষকগণের ক্লাশ চালাতে অনীহাভাব রয়েছে বলে তিনি তাঁর মতামতে জানান। 

উপস্থিতি

প্রতীক ছবি

এদিকে মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সব শিক্ষকদের স্কুলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়ে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ সব নির্দেশনা থাকলেও মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারিকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৫তম দিনের মতো লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা। একদফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ কিংবা জাতীয়করণের ঘোষণার কোনো ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

এ সময় এ আন্দোলনকে জোরদার করতে একটি জাতীয় সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়। এতে বেশ কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন রয়েছে। এ সংগ্রাম কমিটির প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বিটিএর সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া। এছাড়া সংগ্রাম কমিটির সাথে যুক্ত অন্যান্য শিক্ষক সংগঠনগুলোর সভাপতিগণ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ সমন্বয়কারী হিসেবে রয়েছেন ।

বিটিএর নেতৃত্বে জাতীয় সংগ্রাম কমিটির সাথে রয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়ন (বাশার, জসিম), বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম (সাইদুল ইসলাম), এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরাম (বাশিফ),বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (প্রিন্স), জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন।

প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে ১১ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। আজ চলছে আন্দোলনের ১৫তম দিন। শিক্ষকরা বলছেন,‘ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ জুলাই ২০২৩