Home / বিনোদন / স্বীকৃতি ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছেন
স্বীকৃতি ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছেন

স্বীকৃতি ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছেন

‘বুঝতেই পারলাম না কখন কি করে এমন কঠিন অসুখ বাধিয়েছি ! ডাক্তার মুখের উপর বলে দিলেন লিম্ফোমা নামের কঠিন অসুখ আমি শরীরে বহন করছি।’— কথাগুলো বলেছেন গানের মানুষ স্বীকৃতি। তার শারীরিক অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।

স্বীকৃতির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বীকৃতিকে দ্রুত নেওয়া হয় উত্তরার ১৪ নম্বর রোডের ল্যাবওয়ান হাসপাতালে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

স্বীকৃতির ছোটবোন লাবনী রবিবার বিকেলে জানান, কয়েকদিন আগে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে যান শাহনাজ রহমান স্বীকৃতি। ২৭ আগস্ট রিপোর্টে তিনি জটিল রোগের কথা জানতে পারেন। Nonhodgkin Lymphoma রোগে আক্রান্ত স্বীকৃতি। এটি ব্লাড ক্যান্সার বলে পরিচিত। এখন তাকে রক্ত ও প্লাটিনেট দেওয়া হচ্ছে।

স্বীকৃতির উন্নত চিকিৎসার জন্য দরকার হবে প্রচুর অর্থের। সেই আভাস স্বীকৃতি নিজেই দিয়েছেন ফেসবুকে। ২৭ আগস্ট তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘…প্রচুর টাকা লাগবে। এতো টাকা পাবো কই! আল্লাহ্‌ এত বড় পরীক্ষা কেন নিচ্ছেন ! প্লিজ সব্বাই উদার মনে আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার সকল বন্ধু-বান্ধব ও আপন জনের কাছে অনেক দোয়া চাই।’

shikriti-1INNER

গানের জগতে স্বীকৃতি বেশ পরিচিত নাম। ১৯৯৯ সালে তার গানে অভিষেক হয়। এরপর সাতটি একক ও পঞ্চাশের বেশি মিশ্র এ্যালবামসহ তিনি অসংখ্য চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন। গেয়েছেন মঞ্চেও। সম্প্রতি ‘পানে জর্দা চ্যামন’ নামে আইটেম নাম্বারে কণ্ঠ দিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন স্বীকৃতি। শওকত আলী ইমনের সুরে গানটি ব্যবহার করা হয়েছে ‘অ্যাকশন জেসমিন’ সিনেমায়। স্বীকৃতি সম্পর্কে ইমন বলেন, ‘খুবই গুনী শিল্পী স্বীকৃতি। দোয়া করি তিনি যেন সুস্থ হয়ে দ্রুত গানের জগতে ফিরে আসেন।’

ব্যক্তিগত জীবনে স্বীকৃতি এক সন্তানের মা। তার সাত বছর বয়সী মেয়ের নাম প্রত্যাশা। স্বীকৃতির স্বামী কাজী মাসুম সাকলাইন চাকরি করেন একটি ওষুধ কোম্পানীতে। স্বীকৃতিরা ৫ বোন ও দুই ভাই। স্বামীর সঙ্গে তিনি থাকেন উত্তরায়।

shikriti-1hOME-1

স্বীকৃতির সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্বীকৃতি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অনেক বেশী বেশী গান গাইতে চাই। সুস্থ হয়ে উঠতে চাই। সবার সাথে বন্ধুত্ব আড্ডায় মেতে উঠতে চাই। ছোট্ট বাচ্চাটাকে বড় হতে দেখতে চাই। আমার ৭ বছরের বাচ্চাটা তো কিছুই বোঝেনা। সে জানে তার মাকে ব্লাড দিলেই সুস্থ হয়ে উঠবে। আমিও বাঁচতে চাই আমার সন্তানের জন্য।’