Home / শীর্ষ সংবাদ / ধর্ষিতা শিশুর পাশে এসপি শামসুন্নাহার
ধর্ষিতা শিশুর পাশে এসপি শামসুন্নাহার
চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নার শিশুটির পাশে দাঁড়িয়ে তার মা-বাবাকে শান্তনা দিচ্ছেন- ছবি: চাঁদপুর টাইমস

ধর্ষিতা শিশুর পাশে এসপি শামসুন্নাহার

চাঁদপুরের কচুয়ায় উপজেলায় আঁখি (ছদ্ম নাম) নামের ৭ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার দারশাতুলপাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শিশুটিকে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

শিশুটির বাবা চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, বুধবার সকালে স্কুল ছুটির পর আঁখি বাড়িতে এসে খানা খেয়ে বাড়ির অন্য শিশুদের সাথে পাশের বাড়িতে খেলতে যায়। অনেক সময় কেটে যাওয়ার পার সে বাড়িতে না ফিরলে আমরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজা-খুঁজি করতে শুরু করি। আছর নামাজের পর শিশুটিকে রক্তামাখা পোষাকে বাড়িতে আসে। শিশুটির তার পরিবারকে লোমহর্ষক বিষয়টি খুলে বলে।

আঁখি তার পরিবারকে জানায়, খেলাধুলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে অপরিচিত এক যুবক তাকে ফুসলিয়ে পাশের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। তার দেয়া তথ্যমতে বুঝা যায় ওই লম্পট ধর্ষকের বয়স হবে ৩৫ থেকে ৪০ বছর ।

শিশুটির বাবা ও মা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ঘটনার দিন অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় আমরা তাকে ওইদিন রাতে চিকিৎসা করাতে পারিনি। পরে বিষয়টি কচুয়া থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশের সহযোগিতায় আমরা তাকে চাঁদপুর হাসপাতালে নিয়ে আসি।

এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল হোসেনের নির্দ্দেশে থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় সাবেক নাছির মেম্বার নামে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় বলে তারা জানান।

তারা পরিবার আরো জানায় প্রায় ১০ মাস আগে তাদের ১০ বছর বয়সী বড় মেয়েও একইভাবে ধর্ষিত হয়। ওই ধর্ষণ মামলায় ওই এলাকার সুমন নামে এক যুবক বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। সুমন জেলে যাওয়ার পর সাবেক মেম্বার নাছির তাদেরকে বলেছিলেন তাকে ছাড়িয়ে আনার জন্য।

তাই পরিবারটির ধারণা নাছির মেম্বারই এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে।

এদিকে খবর পেয়ে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার শিশুটিকে দেখতে বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে যান এবং অপরাধীকে ধরে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘শিশুটি ধর্ষণ হওয়ার ঘটনায় আমরা প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহজনক এক জনকে আটক করেছি। তার পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা খুব শ্রীঘই প্রকৃত অপরাধীকে ধরার চেষ্টা করবো।’

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক তাবেন্দা আক্তার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘তাকে অজ্ঞান করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অবশ্য আরো উন্নত চিকিৎসার জন্যে মিটিং করা হবে।’

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৬ : ৫৫ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

Leave a Reply