শীর্ষ সংবাদ

চাঁদপুরে প্রবেশ করেছে ৫ হাজার ১৫১ প্রবাসী : কোয়ারেন্টাইনে ১৮৮

বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্ক আর উৎকন্ঠা। এরমধ্যে চাঁদপুরে করোনা আক্রান্ত নেই। আছে উৎকন্ঠা। হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৮৮ জন রয়েছেন।

অথচ গত ডিসেম্বর থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত তিন মাস ২০ দিনে চাঁদপুরে বিদেশ ফেরত হয়েছেন ২৫ হাজার ৯৯১ জন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৯৬ জন প্রবাসীকে স্থানীয়ভাবে নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার মাধ্যমে চাঁদপুরে কোয়ারেন্টাইন শুরু হওয়ার কথা জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসন কন্ট্রোল রুম থেকে জানা গেছে,ঢাকার বিমানবন্দর দিয়ে চাঁদপুরের ঠিকানায় প্রবেশ করেন ৫ হাজার ১৫১ জন। কিন্তু এদের অধিকাংশের অবস্থান এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

ইতোমধ্যে চাঁদপুরে ৫ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে। কচুয়ায় ১ জনকে ২০ হাজার টাকা, ফরিদগঞ্জে ১ জনকে ২০ ও হাইমচরে ১ জনকে ৫ হাজার, হাজীগঞ্জে দুইজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

চাঁদপুর পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন, পৌরসভায় বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে নজরধারী বাড়ানো হয়েছে। চাঁদপুর পৌরসভার শুধুমাত্র ১০নং ওয়ার্ডেই বিদেশ ফেরত রয়েছেন ৪৬ জন।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া বলছেন, প্রবাস থেকে যারা আসছেন, তাদেরকে নিজ দায়িত্বে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। উপজেলার আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও সপ্তগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কোয়ারেন্টাইন নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। এই উপজেলায় প্রবাসে বসবাসরত ২০ হাজার ২’শ ৮৪ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র ইতালীতে রয়েছে ৫শ’৫৯ জন।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে এলাকা ভিত্তিক এদের তালিকা প্রণয়নে কাজ চলছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৯৬ জন প্রবাসীকে স্থানীয়ভাবে নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার মাধ্যমে চাঁদপুরে কোয়ারেন্টাইন শুরু হয়।

জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.এএসএম সোয়েব আহমেদ চিশতী বলেন,ঋতু পরিবর্তনের কারণে জ্বর, সর্দি ও কাশি রোগী বেশি। তাদের জন্য বহির্বিভাগে নতুন করে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকগণ সেবা দিচ্ছেন।
জেলা সিভিল সার্জন মো.সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, রোববার পর্যন্ত জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে ১শ’৮৮ জনকে রাখা হয়েছে।

চাঁদপুরে করোনা আক্রান্ত নেই। জেলার ৮ উপজেলায় ১০০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রয়েছে। ওইসব আইসোলেশন বিভাগের ডাক্তার নার্সদের জন্য গত ১৯ মার্চ ৩০০ গ্লাপস, ১০০ ওয়ান টাইম মাক্স, ১০০ চশমা ও ৫০ টি গাউন বরাদ্দ দেওয়া হয়।

স্পেশাল করেসপন্ডেট,২২ মার্চ ২০২০

Share