Home / সম্পাদকীয় / কারিগরি শিক্ষায় মহতী উদ্যোগকে স্বাগত

কারিগরি শিক্ষায় মহতী উদ্যোগকে স্বাগত

দক্ষ মানবশক্তি গড়ে তোলার জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক। সরকার বর্তমানে দক্ষ শিক্ষক গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক ও অন্যন্যা দাতা সংস্থার সহায়তায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে।

স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে ও সম্প্রসারণে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক নতুন করে ১ শ’ মিলিয়ন ডলার প্রদান উপলক্ষে দিনব্যাপি কর্মশালায প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিষয়টি জানিয়েছেন।

কারিগরি শিক্ষা যুবসমাজের চাকরি ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। উচ্চশিক্ষা লাভ করে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে বেকার থাকলেও কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বর্তমানে কেউ বেকার নেই। পাস করার সঙ্গে সঙ্গেই চাকরি পাচ্ছে ।

দক্ষতা অর্জন করতে পারলে কারিগরি শিক্ষিতদের চাকরি খুঁজতে হবে না। চাকরিই তাদের খুঁজে বের করবে। শিক্ষা সরকারের অগ্রাধিকার খাত। কারিগরি শিক্ষা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত। ২০২০ সালে সরকার কারিগরি শিক্ষায় লক্ষ্যমাত্রা ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। তবে তা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে এবং চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা ৬০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।

সরকার কারিগরির্র কারিকুলাম যুগোপযোগী করা হচ্ছে । সরকারি পলিটেকনিকগুলিতে ডাবল শিফট চালু করা হয়েছে। ২০০৮ সালে এ সব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৩ নশ’৭৫। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়াবে ৫৬ হাজার ৭শ’৫০ জনে। যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

দেশে বর্তমানে ৭ হাজারের বেশি বেসরকারি কারগিরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিগগিরই দেশে একটি বিশ্বমানের টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার, বিশ্বব্যাংক ও কানাডার অর্থায়নে ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট’ বাস্তবায়য়িত হচ্ছে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের গুণগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি ও সহজলভ্য করার মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।

সরকার , দাতা সংস্থা ,শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষামšত্রীর এ মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

সম্পাদকীয় : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:৫৫ পিএম, ২১ মে ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ