Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / ৩৫ বছরেও স্থায়ী ভবন পায়নি কচুয়ার সাচার পুলিশ ক্যাম্প
৩৫ বছরেও স্থায়ী ভবন পায়নি কচুয়ার সাচার পুলিশ ক্যাম্প

৩৫ বছরেও স্থায়ী ভবন পায়নি কচুয়ার সাচার পুলিশ ক্যাম্প

পুলিশকে বলা হয় জনগনের বন্ধু। কিন্ত সেই পুলিশ বন্ধুই যদি সমস্যায় থাকে তাহলে তো আর কথাই থাকে না।

জনবল, ভবন, গ্যাস সংযোগ, পুলিশ সদস্যদের থাকা, ডাইনিং রুম, ইনচার্জ থাকার সমস্যা ও চাহিদানুযায়ী পুলিশ সদস্য না থাকায় এমনই নানান সমস্যায় বোঝা মাথায় নিয়ে দিনের পর দিন কার্যক্রম চলছে কচুয়া উপজেলার সাচার বাজার পুলিশ ক্যাম্পের যাবতীয় কার্যক্রম।

একটু বৃষ্টি আসতেই বৃষ্টির পানিতে ইনচার্জের কক্ষ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তলিয়ে যায় পানিতে। ফলে দীর্ঘ ৩৫ বছরেও একটি স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি নির্মান না হওয়ায় খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে কার্যক্রম।

ক্যাম্পে গিয়ে জানা যায়, ১৯৮১-৮২ সালের কোন এক সময় কচুয়া উপজেলার উত্তর জনপদের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সাচার বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে অস্থায়ী এ ক্যাম্পেটি স্থাপন করা হয়। সাচার দক্ষিণ বাজার ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পশ্চিম পাশে অবস্থিত ক্যাম্পটি র্দীঘ ৩৫ বছর অতিবাহিত হলেও এ ক্যাম্পেটির স্থায়ী ক্যাম্পে/পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে করার উদ্যেগ নেয়া হয়নি।

অথচ বছর কয়েক পূর্বেও এ অঞ্জলের মানুষ চুরি, ছিনতাই ও বড় ধরনের সমস্যার পরতে হতো। কিন্ত পুুলিশ ক্যাম্পটি স্থাপনের পর দায়িত্বশীল ভূমিকার কারণে দেশের দক্ষিনাঞ্চল নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর,চাঁদপুরসহ কয়েকটি জেলার মানুষ দিব্বি আরামে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছে।

সাচার বাজার পুলিশ ক্যাম্পের বর্তমানে দায়িত্বরত ইনচার্জ (এসআই) মোঃ রহমত আলী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বর্তমান এ ক্যাম্পে ১ জন এএসআই (এবি), ২জন নায়েক, ১জন বেতার চালক ও ১১জন কনস্টেবল রয়েছে। কিন্ত এটি পুলিশ ফাঁড়ি হলে এখানে ২০ জন কনস্টেবল থাকতো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ২০১৬সালের ১২ ডিসেম্বর এ ক্যাম্পে যোগদান করি। যোগদানের পর থেকে ১,২ ও ৩নং ইউনিয়নবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে আসছি। আমি যোগদানের পরে এ এলাকায় কোথাও জানামতে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। বিশেষ করে সাচার অঞ্চলের মাদক, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে ও অসামাজিক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বিগত দিনে সাচার বাজার পুলিশ ক্যাম্পটিকে নির্ধারিত জায়গায় স্থায়ী ফাঁড়িতে বাস্তবায়ন করার উদ্যেগ নেয়া হয়। ফলে চাঁদপুরের বর্তমান পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পটি পরিদর্শন করেন।

স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সুত্রে কথা বলে জানাগেছে, সাচার বাজার স্থায়ী ভাবে পুলিশ ফাঁড়ি করতে ৫০-৫৫ শতাংশ ভূমির প্রয়োজন। কিন্ত সাচার মৌজার সি.এস ১০৩১, ১০৩২, ১০৩৩ (জমিদারদের) খতিয়ানের ৬৩৩ ও বিএস ১১৩৮ দাগে ৫ একর ৭৮ শতাংশের আন্দরে প্রায় ৪৪ শতাংশ খাস জমি রয়েছে।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা কোন সমাজহিতৈষী ব্যক্তি এগিয়ে আসলে ক্যাম্পটি স্থায়ী ভবন ও অন্যান্য সমস্যা সমাধান সম্ভব।

সাচার বাজার পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম কবীর চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘সাচার একটি টার্নিং পয়েন্ট। দাউদকান্দি, চান্দিনা, মতলব দক্ষিণ ও কচুয়াসহ ৪ থানার মুখে সাচার পুলিশ ক্যাম্পটি অবস্থিত। এ এলাকার ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি সাচার বাজার পুলিশ ক্যাম্পটিকে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে রূপান্তর করার।

এদিকে সাচার বাজার পুলিশ ক্যাম্পটিকে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়িতে বাস্তবায়নসহ ভবন নির্মানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির সু-দৃষ্টি কামনা করেছে সচেতন এলাকাবাসী।

প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ৪০ এএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৭, শুক্রবার
ডিএইচ

Leave a Reply