Home / সারাদেশ / কচুয়ায় প্রবাসীর ঘরের চালে সরকারি সোলার !
kacua-..-..-..

কচুয়ায় প্রবাসীর ঘরের চালে সরকারি সোলার !

কচুয়ার মেঘদাইর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে সরকারি সোলার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ওই গ্রামের জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস মিয়াজী সরকারি ওই সোলারটি মসজিদ উন্নয়নের নামে প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী পারভিন বেগমের কাছে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর বিকালে সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে কচুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের মেঘদাইর গ্রামের দক্ষিন পাড়া মিয়াজী বাড়ি বাইতুন জামে মসজিদে একটি সরকারি সোলার প্যানেল বরাদ্দ দেয়া হয়।

বরাদ্দের পর নিয়ম অনুসারে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের লোকজন সোলারটি ওই মসজিদে স্থাপন করলে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো.ইলিয়াস মিয়াজী মসজিদ সংস্কারের নাম করে পাশ্ববর্তী একটি টিনসেট ঘরের মালিকের স্ত্রীর কাছে ২০ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করে দেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী পারভিন বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, আমি মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক ইলিয়াস মিয়াজীর কাছে ২০ হাজার টাকা পাব। পরে টাকা দিতে না পারায় ওই টাকার বিনিময়ে ইলিয়াস মিয়াজী সোলারটি আমার কাছে বিক্রি করে দেন এবং বর্তমানে আমার গৃহে সোলারের যাবতীয় সরঞ্জামাদি রয়েছে।

ইউপি সদস্য মো.আব্দুল মান্নান মনু বলেন,‘সোলার প্যানেলটি বিক্রির বিষয়টি শুনে আমি মসজিদে তা দেখতে গিয়েছি। পরে তা পারভীন বেগমের ঘরে দেখতে পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করার পর ইলিয়াস মিয়াজী তার কাছে সোলারটি বিক্রি করেছে বলে স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোজকন মসজিদের সোলারটি মসজিদে দেখতে চায় বলে ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান মনু জানান।’

উপজেলা চেয়ারম্যান মো.শাহজাহান শিশির জানান, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। আগামি দু’একদিনের মধ্যে খোঁজখবর নিয়ে মসজিদের সোলার উদ্ধার করে ওই মসজিদে দেয়ার ব্যবস্থা করব।’

কচুয়ার মেঘদাইর গ্রামে মিয়াজী বাড়ির জামে মসজিদের সরকারি সোলার প্যানেল উন্নয়নের নামে প্রতারনা করে বিক্রি দায়ে অভিযুক্ত ইলিয়াস মিয়াজীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকার সচেতন মানুষ।

অভিযুক্ত ইলিয়াস মিয়াজী সোলার প্যানেলটি বিক্রির সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘২০হাজার টাকা নয় ১২ হাজার টাকায় মসজিদের সংস্কার কাজের জন্য কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে বিক্রি করেছি। তবে সরকারি সোলার বিক্রি করা যায়নি এমন প্রশ্ন করলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।’

জিসান আহমেদ নান্নু, ১ নভেন্বর ২০১৯