Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় কাজ করেও বিল পায়নি ১০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
বিল

কচুয়ায় কাজ করেও বিল পায়নি ১০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

পরপর দুই বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন কচুয়ার ৩নং বিতারা ইউপি চেয়ারম্যান। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বৃহত্তম এ ইউনিয়বাসীর খাজনার টাকা নিজে পরিশোধ করে মওকূপ করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। রয়েছে এলাকার ব্যাপক সুনাম ও পরিচিতি। কিন্তু নির্বাচনীর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিতারা ইউনিয়নের ২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপির বরাদ্দ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

সে অনুসারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে উন্নয়নের কাজও করানো হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও ইউপি চেয়ারম্যান ইসহাক সিকদারের পক্ষ থেকে এলজিএসপির বরাদ্দের টাকা আজো পরিশোধ করা হয়নি। টাকা পাবে কিনা এ নিয়েও দেখা দিয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে নানান শঙ্কা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন,তাদের কাছ থেকে কৌশলে কাজ বুঝে পাওয়ার স্বাক্ষর নিয়ে বিল উত্তোলন করে ইউপি চেয়ারম্যান ইসহাক সিকদার ও ইউপি কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে কাজ করেও এলজিএসপি বরাদ্দের টাকা না পাওয়া স্কুল গুলো হচ্ছে: ১৫নং বাইছারা সপ্রাবি,১৮নং শিলাস্থান সপ্রাবি,২০নং উত্তরশিবপুর সপ্রাবি,২২নং শাসনপাড়া সপ্রাবি,১০৮নং দূর্গাপুর সপ্রাবি,১১০ নং পূর্ব মাঝিগাছা সপ্রাবি,১১১নং নিন্দপুর সপ্রাবি,১১৩ নং যোগিচাপড় সপ্রাবি ও ১১৫নং চাঁনপাড়া সপ্রাবি।

বিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রধান শিক্ষক আরো জানান, প্রথমে আমাদের ৫০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলে কাজ করিয়ে পরবর্তীতে এ ইউনিয়নের কয়েকটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের টাকা কমিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু টাকা কমানোর পরও আমরা আমাদের কাজের টাকা আজো পাইনি, আর টাকা পাবো কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তারা আরো বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয় টাকা দেই দিচ্ছি বলে বিভিন্ন ভাবে আমাদের ঘুরাচ্ছেন।

এদিকে একজন ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে তাদের বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ করানোর পরও এলজিএসপি বরাদ্দের টাকা না দেয়ায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সুভাস চন্দ্র জানান, নির্বাচনের অনেক আগে ইউপি কার্যালয় থেকে এলজিএসপির কথা বলে আমাদের কাছ থেকে তালিকা নেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন স্বস্ব বিদ্যালয়ে কাজ করেও এখনো বিল পায়নি বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসহাক সিকদার বলেন, আমার ইউনিয়নে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এলজিএসপির বরাদ্দ দিয়ে উন্নয়ন কাজ আমি চালু করেছি। কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে এলজিএসপির বরাদ্দের টাকা বাকী থাকার তো কথা নয়। কোনো প্রতিষ্ঠান না পেয়ে থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

কচুয়া প্রতিনিধি, ২৩ এপ্রিল ২০২২