কচুয়া

কচুয়ায় অপহৃত তরুণীকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে উদ্ধার

চাঁদপুর কচুয়ায় তরুণীকে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণের ২০ঘন্টা পর কুমিল্লার চান্দিনার নবাবপুর এলাকা থেকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে উদ্ধার করেছে কচুয়া থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার(২২ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে কচুয়াা থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো:বাহালুল আলম মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে ওই যুবতীকে উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় অপহরণের স্বীকার যুবতীর বাবা মো: জামাল হোসেন সরকার ৫ জনকে আসামী করে কচুয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।যার নং-২১/২০১৯।

মামলায় স্থানীয় সফিবাদ এলাকার যুবক শাহনেওয়াজ, আবদুল মান্নান, ফয়সাল, বোরহান ও পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সফিউল খান (৩৮) কে অভিযুক্ত করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে গাঁ ডাকা দিয়েছেন।

অন্যদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছেন। আটকৃতরা হচ্ছেন, সফিবাদ গ্রামের সালমান হোসেন,সজীব,ইসমাইলও মমতাজ বেগম।

অপহৃত তরুণীর স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামে বসবাসকারী মো: জামাল হোসেন সম্প্রতি তার নিজ বাড়ী তেতৈয়া গ্রামে আসেন। সোমবার দুপুরে জামাল হোসেনের স্কুলে পড়ুয়া কন্যা তার আত্মীয় যুবক আহাদকে নিয়ে একই উপজেলার সফিবাদ গ্রামে তার ফুফা কামরুল খন্দকারের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল।

এসময় পথিমধ্যে সিংআড্ডা গাবতলী বাজার এলাকায় আসলে লতীফপুর গ্রামের সিএনজি চালক হাছানের সাথে ভাড়া নিয়ে তাদের বাকবিতন্ডা হয়। পরে ওই যুবতী তার আত্মীয় কামরুল খন্দকারকে ফোন দিলে তিনি ইউপি সদস্য সফিউল খানকে বিষয়টি জানান। পরে ইউপি সদস্য সফিউল খান একই গ্রামের যুবক তার শাহনেওয়াজ ঘটনাস্থলে পাঠান।

এসময় যুবক শাহনেওয়াজ ও নাাসির উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই যুবতীকে মারধর করে আহাদকে রেখে তাকে সিএনজিতে উঠিয়ে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায় বলে মেয়েটির স্বজনরা অভিযোগ করেন।

এদিকে সফিবাদ গ্রামে গিয়ে স্থানীয় একাধিক লোকজনের সাথে আলাপকালে স্থানীয়রা বলেন,‘ইউপি সদস্য সফিউল খান সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় রাজত্ব সৃষ্টি করে সালিশ বৈঠক, মানুষের যেকোনো বিপদকে পূঁজি করে একটি অসাধু মহলকে হাত করে বিভিন্ন সময়ে মোটা অংকের টাকা পকেটে হাতিয়ে নিচ্ছে।’

যেখানে রক্ষক ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে তখন সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হয়? তা নিয়ে সচেতন মহলে নানান প্রশ্ন উঠেছে।এলাকাবাসী যুবতী অপহরণের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এব্যাপারে কচুয়া থানার ওসি মো: আতাউর রহমান ভূঁইয়া বলেন,ঘটনার পর ভিকটিমকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।

স্টাফ করেসপন্ডেট
২২ জানুয়ারি,২০১৯

Share