Home / স্বাস্থ্য / ২২ জানুয়ারি থেকে ৪৪ জেলায় কৃমির ওষুধ প্রেরণ
মাঙ্কিপক্স

২২ জানুয়ারি থেকে ৪৪ জেলায় কৃমির ওষুধ প্রেরণ

২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় ২৭তম জাতীয় কৃমি সপ্তাহ। প্রথম ধাপে ৪৪ জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ শিশুকে ওষুধ খাওয়ানো হবে।

প্রথম ধাপের এ কার্যক্রম চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশিদ আলম এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ৫-১১ বছর বয়সী সকল শিশুকে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ১২-১৬ বছর বয়সী সকল শিশুকে এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ (মেবেন্ডাজল বা ডারমক্স ৫০০ মি. গ্রা.) ভরা পেটে সেবন করানো হবে।

মহাপরিচালক জানান, সারা দেশের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (সরকারি, বেসরকারি, ফরমাল, নন-ফরমাল স্কুল, মাদ্রাসা, মক্তব) এবং প্রায় ৩৩ হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের (বিদ্যালয়, মাদ্রাসা) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ কর্মসূচির আওতাভুক্ত।

শিশুদের মাঝে ওষুধ সেবনের হার প্রত্যেক রাউন্ডেই ৯৫-৯৮% রয়েছে। শিশুদের মল পরীক্ষায় কৃমির উপস্থিতি ৮০% (২০০৫) থেকে ৭.৯৫% (২০১৮-১৯) নেমে এসেছে।

অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন,এবারে প্রথম ধাপে ওষুধ সেবনকারী শিশুর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ।

খুরশীদ আলম আরও বলেন, কৃমিনাশক ওষুধ সেবনের উল্লিখিত হার অব্যাহত থাকলে এবং দেশের সকল শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাদের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে প্রতিটি ঘরে আমরা কৃমিমুক্ত শিশু দেখতে পাব যা সুন্দর ও সুস্থ জাতি গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কৃমি নির্মূলের লক্ষ্যে ৫-১৬ বছর বয়সী শিশুদের জন্য রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম উদযাপন করার লক্ষ্য হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের ৫-১৬ বছর বয়সী সকল (স্কুলগামী, স্কুলবহির্ভূত, স্কুল থেকে ঝরে পড়া, পথশিশু,কর্মজীবী শিশু) শিশুকে এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ বিনা মূল্যে সেবন করানো।

এর সঙ্গে কৃমির পুন:সংক্রমণ রোধকল্পে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। শিশুদের পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যশিক্ষা দেয়ার ফলে তা অভ্যাসে পরিণত হবে এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যার ব্যাপারে সচেতন হবে,যা থেকে ভবিষ্যতে শিশুরা কৃমিসহ অন্যান্য পরজীবীবাহিত রোগব্যাধি থেকেও পরিত্রাণ পাবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত তথ্য মোতাবেক জানা যায় যে, কৃমির সংক্রমণ বয়স্ক মানুষের চেয়ে শিশুদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি (০-৪ বছরের শিশুদের মধ্যে ৭%, ৫-১৪ বছর ৩২%, ১৫-২৪ বছর ১৫%, ২৫-৪৪ বছর ৭%, ৪৫-৫৪ বছর ৫%, ৫৫ বছরের অধিক বয়সী মানুষের মধ্যে ৪%)।

উল্লেখিত জরিপের ওপর ভিত্তি করেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিশুদের মাঝে এই কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

দেশে কর্মসূচিটি ২০০৫ সালে প্রথমত ৩ জেলায় নেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে জুন ২০০৭ পর্যন্ত ১৬ জেলায়,মে ২০০৮ পর্যন্ত ২৪ জেলায় ও নভেম্বর ২০০৮ থেকে ৬৪টি জেলায় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমটি সম্প্রসারিত করা হয়।

২৯ জানুয়ারি ২০২৩
এজি