হাইমচর

এতিমখানায় ভবন না থাকাতে ভোগান্তিতে মাদ্রাসার হাফেজরা

সারাদিন কোরআন হিফজ চলছে। এতিম ছেলেগুলো একমনে আল্লাহর কেতাব মুখস্ত করতে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে। কিন্তু কোমলমতি এসব ছাত্রদের ছোট্ট পেটটি লেগে গেছে পিঠের সাথে। ক্ষুধায়। কিন্তু ক্ষুধাকে শক্তি ভেবেই চলছে ধর্মের সাধনা এবং ভবন না থাকাতে ভোগান্তিতে পড়েছে এতিম শিশু গুলো।

এমন চিত্র চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার ২নং উওর আলগী ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ছোট লক্ষীপুর গ্রামের কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা ভবন না থাকাতে শিশুদেরকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে ছোট লক্ষ্মীপুর গ্রামে গ্রামে এতিমখানা ও মাদ্রাসাটি চালু করা হয়। সে সময় থেকেই একটি টিনের বাসার একটি কক্ষে পরিচালিত হচ্ছে। মাদ্রাসা টির ১৫ কাঠা জায়গায় রয়েছে কিন্তু ভবন নেই অর্থ সংকটে মাদ্রাসায় নির্মাণ করতে পাচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে মাদ্রাসায় দ্বীনি শিক্ষা নিচ্ছেন শতাধিক শিক্ষার্থী বেশি। যার মধ্যে আবাসিকে অর্ধশত শিক্ষার্থী এবং ২০ জন এতিম শিশু রয়েছে।

মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাফেজ মোঃ আবু তাহের মিয়াজী জানান, মাদ্রাসায় ভবন ও বিদ্যুতের সংকট রয়েছে এই মাদ্রাসাটি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মাদ্রাসায় মাদ্রাসা একটি টিনের ঘর রয়েছে এটাতে থেকে কোরআন পড়া এতিমদের পক্ষে খুবই কষ্ট দায়ক। চাল ফুটে থাকা বৃষ্টির পানিতে ভিজতে হচ্ছে এতিম শিশুদের।

তাই আমি অনুরোধ করবো সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি ও হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব নূর হোসেন পাটোয়ারী আপনারা যদি আমাদের এতিম বাচ্চাদের জন্য মাদ্রাসাটিতে একটি ভবন নির্মাণ করে দেন তাহলে তাহলে মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের জন্য খুবই ভালো হবে।

মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো.আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পেটে ক্ষুধা নিয়ে পড়ায় মনোযোগ বসে না। গত কয়েকদিন ধরে কেউ সাহায্য করলে খানা হচ্ছে, অন্যথায় হচ্ছে না। সামাজের বিত্তবানরা বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিলে আল্লাহর রহমতে ছাত্রদের দ্বীন শিক্ষার পথ সহজ হয়ে উঠবে।আমাদের এই এতিমখানা মাদ্রাসায় একটি ভবন নির্মাণ করে দিতেন তাহলে এতিম শিশুদের ও কোরআনে হাফেজরা ভালোভাবে থাকতে পারতো।

করেসপন্ডেট,৭ অক্টোবর ২০২০

Share