Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে আটগাঁট বেঁধে নেমেছেন এমএ হান্নান : ভোটকেন্দ্র পাহারায় কমিটি গঠন
ma-hannan-election-pr
নেতাকর্মীদের সাথে এমএ হান্নান ( ফাইল ছবি)

ফরিদগঞ্জে আটগাঁট বেঁধে নেমেছেন এমএ হান্নান : ভোটকেন্দ্র পাহারায় কমিটি গঠন

চাঁদপুর-৪ আসন ফরিদগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ্ব এমএ হান্নান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন।

নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দুবৃত্ত কর্তৃক কেন্দ্র দখল ঠেকাতে ইতিমধ্যে তিনি কিমিটি গঠন করেছেন। নিরস্ত্র ওই কমিটিতে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির ত্যাগী-পরিশ্রমী ও প্রতিটি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ইতিমধ্যে এই কমিটির সদস্যদের নিয়ে একাধীক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-৪ আসন ফরিদগঞ্জে ১শ’১৮টি ভোট কেন্দ্রে ৬শ’১৪টি কক্ষে ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ১০৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুসারে ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে এমএ হান্নানের নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদগঞ্জের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে দুবৃত্তদের দখল-সিলিং প্রতিরোধ করা হবে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করাই হবে এ কমিটির প্রধান কাজ। পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নেক দুটি ভাগে ভাগ করে উক্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত সোমবার দুপুরে দলীয়ভাবে তার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের ঘোষনা আসার পর নেতাকর্মীদের মাঝে আগের চেয়ে বেশি চাঙ্গা মনোভাব বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়া মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ-ফরিদগঞ্জ এর আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মঞ্জিল হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘গরীবের বন্ধু দানবীর আলহাজ্ব এম এ হান্নান দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। উন্নয়ন কাজে পারদর্শী হিসেবে তার বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে তিনি নিশ্চিত প্রার্থী হচ্ছেন। যার লক্ষ্যে পৌরসভা, প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি এমএ হান্নানের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। কমিটির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে যৌথ সভা করে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

এ সর্ম্পকে বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন পাটওয়ারী বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমএ হান্নান মাত্র ২ ঘন্টায় ৫৬ হাজার ভোট পায়। কিন্তু ডাবল সিলের মাধ্যমে সংগ্রহিত ভোটকে নষ্ট করে তা ৩২ হাজার বলে ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। দুবৃত্তের জবর-দখলের কারনে এমএ হান্নান সাহেব সেই নির্বাচন বর্জন করেন। উপজেলা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা এবার ভিন্নভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। আসা করি নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র পাহারায় গঠিত কমিটি সকল অপশক্তিকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে।’

এদিকে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম নজু বলেন, আলহাজ্ব এমএ হান্নান দীর্ঘ দুই দশক ধরে ফরিদগঞ্জের রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে একটি করে মসজিদ নির্মান করেছেন। নিজ গ্রামে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন শোল্লা আশেক আলী স্কুল এন্ড কলেজ। দান-অনুদানের জন্য তিনি গরীবের বন্ধু হান্নান নামেই পরিচিত। তিনি প্রতি ঈদে দরিদ্র অসহায়ের জন্য ঈদ উপহার নিয়ে আসেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘শীতে যাতে মানুষ কষ্ট না পায় সে জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এছাড়া বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রেখেছেন তিনি অন্যন অবদান। রিক্সা চালকসহ শ্রমজীবিদের মাঝে এমএ হান্নানের একটি বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। ফরিদগঞ্জের শিক্ষা ও মানব উন্নয়নের লক্ষ্যে এমএ হান্নান জনকল্যান ট্রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন। ওই ট্রাষ্টে তিনি প্রায় ৮ কোটি টাকার সম্পদ দান করেছেন। ফরিদগঞ্জের মানুষ এমএ হান্নানকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। আসন্ন নির্বাচনে এমএ হান্নানের বিজয়ের মধ্যে দিয়ে তার প্রতিফলন ঘটবে।’

প্রতিবেদক: আতাউর রহমান সোহাগ