Home / চাঁদপুর / উন্নয়ন মেলায় ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুরকে নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
Unnoyon Mela

উন্নয়ন মেলায় ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুরকে নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

‘উন্নয়নে রোল মডেল, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানকে ধারন করে তৃতীয়বারের মত সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও উন্নয়ন মেলা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে গণভবনে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ৩দিন ব্যাপি উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন।

ভিডিও কনফারেন্সে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চাঁদপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এ জেলার পদ্মা ও মেঘনা নদী দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ লঞ্চে যাতায়াত করেন। তাই এসব নদীগুলো খনন করে চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরইমধ্যে নদী খননের কয়েকটি প্রকল্প চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো নদীই খনন করা হবে।

এ সময় তিনি জেলে মানিক দেওয়ান ও কৃষক মিজানুর রহমানের বক্তব্য শুনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেলার কৃষকদের বক্তব্যের মাধ্যমে আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি। কারেন্ট জাল যারা তৈরি করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলে পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য সরকার কাজ করছেন। তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করে আধুনিক পদ্ধতি মাছ শিকার করার জন্য গড়ে তুলতে হবে। কারণ আমরা এখন প্রাইমারি থেকে পিএসডি পর্যন্ত বৃত্তির ব্যবস্থা রেখেছি। আর এসব বৃত্তির টাকা সরাসরি তাদের মোবাইলে চলে যাচ্ছে। বছরের শুরুতে বিনামূল্যে বই দেয়া হচ্ছে। এতে করে জেলেদের সন্তান শিক্ষিত হওয়ার জন্য কোন সমস্যা নেই।

প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বন্যায় ফসলের ক্ষতি, আলু সংরক্ষণের অভাবে ও ন্যায্য মূল্য পাওয়ার দাবিতে কৃষক মিজানুর রহমানের বক্তব্যে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলু সংরক্ষণ চাইতে পক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। আলু দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা যায়। এসব পণ্য দেশিয় বাজারে বিক্রি করা যাবে। আমরা এখন পক্রিয়াকরণের প্রতি দৃষ্টি দেব।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প অনেক সম্ভাবনাময়। চাঁদপুরে পরিকল্পিতভাবে পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে পারেন। কারণ পর্যটন শিল্পে নৌ-ভ্রমণ খুবই আনন্দ দায়ক। ইচ্ছে করলে জাহাজে করে পরিবারসহ এসে ভ্রমণ করে সহজেই গন্তব্যে চলে যেতে পারবেন। চাঁদপুরে যে পদ্মা-মেঘনার মিলনস্থল তা দেখার জন্য আমরা ছোট বেলায় আগ্রহসহ অপেক্ষায় থাকতাম। চাঁদপুর ঘাটে জাহাজ আসলে হাড়িতে করে মিষ্টি আনা হত। পেট চুক্তি খাবার ছিলো। তবে জাহাজের হুচাল দিলে খাবারে রেখে অনেকে চলে যেত যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

চাঁদপুরের সার্বিক উন্নয়ন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের বিবরণ শুনে প্রশংসা করেন এবং বলেন চাঁদপুরে চাঁদের হাট বসেছে।

এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সম্পাদক ও চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ওচমান গণি পাটওয়ারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকিরসহ সরাকারি দপ্তর প্রধান, শিক্ষক, আইনজীবী ও বিভিন্ন পেশার ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৯:০৩ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ