ফরিদগঞ্জে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ২ যুবক কারাগারে

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ইয়াবা দিয়ে মুদি ও মৎস ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে গিয়ে ধর্ষণ মামলার আসামি সহ দুই যুবক কারাগারে।

১০ মে মঙ্গলবার উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় বিদেশ ফেরত মুদি ও মৎস ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে গিয়ে ধর্ষণ মামলার আসামি আবুল কাশেম(৩০) ও আঃ মমিন (২৫)কে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আবুল কাশেম ও আঃ মমিন মুদি ও মৎস্য ব্যবসায়ী জুলফুর আলীর দোকানে সুকৌশলে ইয়াবা রেখে বিক্রি করে বলে থানার পুলিশকে জানান।

পরে পুলিশ ওই মুদি দোকানে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ওই দোকানের লবনের পেকেটের নিচ থেকে একটি সিগারেটের পেকেটের বিতর থেকে ৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে, এবং দোকানি জুলফুর আলী (৪৭) কে থানায় নিয়ে আসে।

ইয়বা বিক্রির বিষয়ে দোকানদার জুলফুর আলীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দোকানি জানান, তিনি আগে কখনো এই ইয়াবা দেখেন নি বিক্রির তো দূরে কথা। তখনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এ এস আই জামসেদকে তথ্যদাতাদের থানায় হাজির করেতে বলেন এবং সন্ধ্যায় ওই দুই তথ্য দাতাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসা করলে তারা ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর কথা স্বীকার করেন।

আরো জানা যায়, আবুল কাশেম গত এক মাস পূর্বে একটি ধর্ষণ মামলায় জেল থেকে জামিন নিয়ে বের হয়েছে।

এ বিষয়ে বিদেশ ফেরত মুদি ও মৎস ব্যবসায়ী জুলফুর আলী আবুল কাশেম ও আঃ মমিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

জুলফুর আলী বলেন, ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসন স্যারের সঠিক ভূমিকার জন্য আমার মান-সন্মান রক্ষা হয়েছে। তিনি আমার মুখের কথা শুনে যদি সঠিক তদন্ত না করতেন তা হলে আমি এই সমাজের মানুষের কাছে কি জবাব দিতাম।

ইয়াবা দিয়ে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহম্মদ শহীদ হোসনে জানান, ৯৯৯ ও আমাদের থানা পুলিশের মোবাইল ফোনে ফোন করে ভুল তথ্য দিয়ে ও একজন নিরঅপরাদ লোককে ফাঁসানো অভিযোগে (কাশেম ও মমিন) এই দুজনের বিরুদ্ধে মামদক ও পুলিশকে হয়রানির অপরাদে আদলাতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলোন, পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে নিরঅপরাধ মানুষদের হয়রানি করা দিন শেষ হয়ে গেছে। আমি যতদিন এই থানায় থাকবো ততদিন কোন নিরঅপরাধ মানুষেকে মামলা দিয়ে ক্ষতি হতে দিবনা।

প্রতিবেদকঃশিমুল হাছান

Share