Home / শীর্ষ সংবাদ / খুলে দেয়া হয়েছে ইস্কাটন-মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার
খুলে দেয়া হয়েছে ইস্কাটন-মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার

খুলে দেয়া হয়েছে ইস্কাটন-মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার

রাজধানীর নির্মাণাধীন মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মগবাজার-মৌচাক অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় খুলে দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফিতা কেটে ইস্কাটন-মগবাজার-মৌচাক অংশে যানবাহন চলাচল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এর আগে গত ৩০ মার্চ এ ফ্লাইওভারের তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে মগবাজার হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর তেজগাঁও, মগবাজার, মৌচাক এলাকার মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত এই ফ্লাইওভারটির মোট দৈর্ঘ্য সাড়ে আট কিলোমিটারের বেশি।

বাংলাদেশ সরকার, সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট ও ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের যৌথ অর্থায়নে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তবে এর মধ্যে কিছু অংশ বাড়িয়ে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক হাজার ২১৯ কোটি টাকা।

প্রকল্পটির বাকি কাজ শেষ করার সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০১৭ সালের জুন নাগাদ।

ফ্লাইওভারটির তৃতীয় অংশ ওয়্যারলেস গেট থেকে মৌচাক হয়ে রামপুরা পর্যন্ত যাবে। এ অংশের এক পাশ যাবে রাজারবাগ, এক পাশ যাবে শান্তিনগর। এর নির্মাণকাজ চলতি বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

২০১১ সালের ৮ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হয় মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পটি। তিন অংশে বিভক্ত ফ্লাইওভারের কাজ দেওয়া হয় ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ‘সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি’ এবং চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি (এমসিসিসি) ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে।

এ কোম্পানিগুলো স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু করে। প্রথমে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। তখন নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

তবে নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারায় পর্যায়ক্রমে দুবার প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানো হয়। বাড়ানো সময়ের প্রথম দফায় কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালের মধ্যে। পরে দ্বিতীয় দফায় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করে চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু তাও সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে ঠিকাদার ও তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার কারণে তিন দফায় সময় বাড়ানোর পর এখন ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।

মেয়াদ বাড়ার সমান্তরালে প্রকল্পের ব্যয়ও প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়িয়ে ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা করা হয়।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২:২০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

Leave a Reply