Home / আন্তর্জাতিক / জুম্মার নামাজের পর ইসরায়েলি সেনার গুলিতে ফিলিস্তিনি নিহত
জুম্মার নামাজের পর ইসরায়েলি সেনার গুলিতে ফিলিস্তিনি নিহত
জেরুজালমকে ইসরেয়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিনি সিদ্ধান্তের পর ফিলিস্তিন জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ। ছবি : রয়টার্স

জুম্মার নামাজের পর ইসরায়েলি সেনার গুলিতে ফিলিস্তিনি নিহত

জেরুজালেমকে ইসরেয়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিনি সিদ্ধান্তের পর সৃষ্ট সংঘর্ষে এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরো অনেকে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের পর গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ফিলিস্তিনের বিভিন্ন হাসপাতালের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, গাজা উপত্যকার পূর্ব ও উত্তর সীমান্ত অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

ইসরায়েলের পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে এক ইসরায়েলি পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করেন এক ফিলিস্তিনি। পরে ওই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি আত্মঘাতী বোমা বহন করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিবিসি জানায়, গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে জুম্মার নামাজের পর ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের পাথরের জবাবে টিয়ার শেল ও গুলি ছোঁড়ে সেনা সদস্যরা।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিবাদে গত ৭ ডিসেম্বর জেরুজালেম, পশ্চিম তীর ও গাজা শহরে বিক্ষোভে নামে ফিলিস্তিনিরা। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পরের দিন ‘বিক্ষোভ দিবসের’ ডাক দেওয়া হয়।

এ সময় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং সাত শতাধিক আহত হয়।

৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বকে আরো সংকটময় করবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া এই পদক্ষেপ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের চলমান প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করবে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পাল্টা জবাবে পরে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা করে মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসি।

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণার মার্কিনি সিদ্ধান্তটি বেশ পুরোনো। ১৯৯৫ সালেই মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদিত এক আইনে ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সাবেক সব প্রেসিডেন্টই ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর একই পথে হেঁটেছিলেন ট্রাম্পও। তবে এবার বেঁকে বসেন তিনি। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। পরে ১৯৮০ সালে তারা পূর্ব জেরুজালেমকে অধিগ্রহণ করে নেয় এবং ইসরায়েলের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে। তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ওই অঞ্চলকে দখলকৃত হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। (রয়টার্স)

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১ : ০০ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, শনিবার
এইউ