Home / সারাদেশ / ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া
ইলিশের

ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া

লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকার মেঘনা নদী ইলিশের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। অথচ সেই লক্ষ্মীপুরেই এখন ইলিশের দাম আকাশ্চুম্বী। সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে এ মাছ। পাশাপাশি পোয়া মাছের দামও বেশি বলে জানা গেছে।

ক্রেতাদের দাবি, ইলিশের প্রচুর দাম। কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। জাটকা সাইজের ইলিশেও হাত দেওয়া যায় না। পোয়া মাছের দামও নাগালের বাইরে।

তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বেশি দামে কিনে আনতে হয় তাদের। সেই হিসেবেই মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে। ছোট আকারের ইলিশ তথা পাঁচটায় কেজি সাইজ ৩৮০ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশের কেজি (দুই বা তিনটায় কেজি) ৭৫০ থেকে ১১০০ টাকা ও বড় ইলিশ ১৬০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

২৫ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের দক্ষিণ তেমুহনী, কমলনগর উপজেলার চৌধুরী বাজার ও মুন্সিহাট মাছবাজারে ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। এর আগে কমলনগরের নবীগঞ্জ মাছঘাটে গিয়ে প্রায় আধঘণ্টা অপেক্ষা করেও জেলেদেরকে মাছ নিয়ে আসতে দেখা যায়নি।

স্থানীয় জেলে ফয়সাল মাঝি বলেন, এখন নদীতে মাছ কম পাওয়া যায়। আর জোয়ার পরিপূর্ণ হলে মাছ শিকার করেন জেলেরা। ঘাটে মাছ নিয়ে আসতে রাত ৮ থেকে ৯টা পর্যন্ত সময় লাগে।

লক্ষ্মীপুর দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় মাছ কিনতে আসা চাকরিজীবী নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘ইলিশ মাছ কিনতে এসেছিলাম। বড় ইলিশ আপাতত কেনা সম্ভব না। ছোট ইলিশের দামও নাগালের বাইরে। ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দামে ছোট ইলিশ কিনে পোষাবে না।’

মুন্সিরহাটে মাছ কিনতে আসা কৃষক সোহেল হোসেন জানান, ‘খুব কাছেই নদী। সেখান থেকেই এ হাটে মাছ আসে। এরপরও মাছের আগুন দাম। কিনতে গেলে পকেট খালি হয়ে যাবে।’

চৌধুরী বাজার ও মুন্সিরহাটের মাছ ব্যবসায়ী হারুন আহমেদ বলেন, ‘ঘাট থেকেই বেশি দামে ইলিশ কিনতে হয়। সেই হিসেবেই তাদের মাছ বিক্রি করতে হয়।’

‘পোয়া মাছ আকার অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। ছোট আকারের পোয়া মাছ ২০০ টাকা কেজি ও বড় মাছ ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।’

লক্ষ্মীপুর দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার মাছ ব্যবসায়ী সুমন হোসেন রিয়াজ বলেন, ‘আমরা বেশি দামেই কিনে আনি। এরপর গাড়িভাড়া রয়েছে। সবমিলিয়ে আমাদের খরচ বেশি পড়ে। এখানে আমাদের কিছু করার থাকে না। কম দামে মাছ কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রি করি। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের চলতে হয়।’

বার্তা কক্ষ, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩