ইতিহাস মনে রেখো

অনেক বাধা বিপত্তি, বাদ- প্রতিবাদ, অপবাদ-অপপ্রচার,ঘাত প্রতিঘাত, হিংসা, দ্বন্দ্ব অতিক্রম করে আল্লাহভক্ত নেক বান্দাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা নির্মিত হয়েছে। কওমী মাদরাসা- মার্কেট, হাজীগঞ্জ প্লাজা, হাজীগঞ্জ টাওয়ার, ইলেক্ট্রনিক্স ও ঘড়ির মার্কেট সরিয়ে উন্মক্ত মসজিদের মাঠ এবং কাঠপট্টি সরিয়ে রাজনীগন্ধা মার্কেট।

মসজিদ কমপ্লেক্সের উন্নয়ন কার্যক্রমের গতিধারায় বিনিয়োগের সুযোগের প্রেক্ষিতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের আগমন ঘটে। কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

হাজিগঞ্জ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের গতিধারায় সম্পদ- সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধিসহ প্রতিটি মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। ধর্ম-কর্ম শিক্ষা-দিক্ষা, ব্যবসা- বাণিজ্যে আজ হাজীগঞ্জ চাঁদপুর জেলার আলোকিত বাণিজ্যিক শহর।

 

উন্নায়ন কার্যক্রম করতে গিয়ে আমি বার বার বাধাগ্রস্ত হয়েছি। তা’সত্ত্বেও-প্রায় ৩শ’ ব্যবসায়ী উদ্যোক্তার বিনিয়োগ সুযোগ এবং ২হাজারেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিয়ে ‘বিজনেস পার্ক মকিমউদ্দিন শপিং সেন্টার’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। আগের মত বাধা বিপত্তি, বাদ-প্রতিবাদ মিথ্যাচার এবং ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে আল্লাহভক্ত নেক বান্দাদের দোয়া এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা গড়ে উঠবে ‘বিজনেস র্পাক মকিমউদ্দিন শপিং সেন্টার’।

যা হাজীগঞ্জ আর্থ সামাজিক উন্নয়নের আরও একটি মাইলফলক হিসেবে নির্মিত হবে-ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য যে রাষ্ট্রের নিয়ম মোতাবেক সাবেক ভাড়াটিয়া, বলতে গেলে জবর দখলকারী হওয়া সত্ত্বেও নিয়ম- নীতি,বিধি বিধানের তোয়াক্কা না কারে, গায়ের জোর খাটিয়ে মসজিদের মালিকানাধীন সম্পত্তির ঘর দখল চায়।

পবিত্র মসজিদ ইট পাথরের প্রতিষ্ঠান, এই ভেবে ওরা মসজিদ কর্তৃপক্ষ বা স্টাফ কর্মচারীর রক্ত ঝরিয়ে, বিষোধগার করে, অপবাদ- অপপ্রচার, মিথ্যাচার, মামলা -মোকাদ্দমার হীন চেষ্টা করে দখলদারিত্ব ধরে রাখতে চায়।
ওরা কি ভুলে গেছে? অতীতে বাধাগ্রস্ত করে উন্নয়নকে আটকে রাখতে পারেনি, বর্তমানেও পারবে না উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বিজনেস র্পাক মকিমউদ্দিন শপিং সেন্টারও নির্মিত হবে- ইনশাআল্লাহ।
পরিতাপের বিষয় হচ্ছে কাগজ-পত্রে যাদের বৈধতা নেই। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বলতে গেলে জবর দখলকারী, এই সত্যটুকু জেনেও সাবেক বাড়াটিয়াদের উসকে দিয়ে, অন্যায়ভাবে তাদের পক্ষ অবলম্বন করে, মসজিদের অর্থ এবং ক্ষতি করে,উন্নয়ন কার্যক্রমের গতিকে থামিয়ে রাখতে চায়। চিনে রাখুন,ওরা কারা?

সেবার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে-

বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বিষয়ক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় ইতিহাস তাদের ক্ষমা করে না।

আসুন ধর্মীয় ঐতিহ্যের পূণ্যভূমি হাজীগঞ্জ- ধর্ম-কর্ম, শিক্ষা-দীক্ষা, সেবার গুণগত মান উন্নয়ন, এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রেক্ষিতে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করি। আলোকিত হাজীগঞ্জ গড়ি, আলোর পথকে সুগম করতে সকলে মিলে কাজ করি।

আমাদের সবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ সমৃদ্ধির দিকে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ

ধন্যবাদান্তে-ড.মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারী

Share