Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / ইচলীতে চাচা ও ফুফুর আঘাতে ৩ মাসের সন্তান নষ্ট
ইচলীতে চাচা ও ফুফুর আঘাতে, গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে

ইচলীতে চাচা ও ফুফুর আঘাতে ৩ মাসের সন্তান নষ্ট

চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর ইচলীতে আপন চাচা ও ফুফুর লাথির আঘাতে তিন মাসের অন্ত:সত্বা নারীর গর্ভের সন্তান নষ্ট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় উত্তর ইচলী ছৈয়াল বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ৫ দিন ধরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে কাতরাচ্ছে অসহায় গৃহবধূ সাবিনা বেগম।আহত সাবিনা ওই বাড়ির আব্দুল গনি ছৈয়ালের মেয়ে।

হাসপাতালের বেডে অসুস্থ সাবিনা জানায়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে কয়েক দিন পূর্বে তার মাতা নাছিমা বেগমের সাথে তার ফুফু আমেনা বেগমের ঝগড়া হয়।

এ নিয়ে তার চাচা আব্দুল রহিম ছৈয়ালের কাছে বিচার দিলেও তিনি বিষয়টি কর্ণপাত না করে উল্টো তাদের সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। ঝগড়ার এক পর্যায় তাদের উভয় পক্ষের মাঝে হাতাহাতি সৃষ্টি হলে সাবিনা বেগম ঝগড়া থামাতে গেলে তার চাচা রহিম ছৈয়াল ও ফুফু আমেনা বেগম তাকেও মারধর শুরু করেন।

সাবিনা জানায়, এ সময় তারা সাবিনার তলপেটে লাথি মারলে সে গুরুতর ভাবে আহত হন। এর পরেই তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হলে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। বর্তমানে সে হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অসুস্থ সাবিনার পরিবারের অভিযোগ এমন অমানবিক ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের দায়িত্বরত কয়েকজন নার্সরাও জানিয়েছেন সাবিনার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারনে তার প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং তার সুস্থতার জন্য ডিএনসি করিয়ে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।

রহিম ছৈয়াল ও তার বোন আমেনা বেগম একটি বারের জন্যও তাকে হাসপাতালে দেখতে আসেননি। উল্টো দলের প্রভাব খাটিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি প্রদান করছেন। তাই তারা ভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারছেননা। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল কাদির গাজীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন,‘আমি বিষয়টি এখন জানতে পেরেছি। যদি এমন ঘটনা হয়ে থাকে আমি রহিম ছৈয়ালকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করে জানবো।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রহিম ছৈয়ালের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি সেখানে ছিলাম না। সাবিনার পিতা ও তার ছেলে আমি এবং আমার বোনকে মারধর করছে।’

কবির হোসেন মিজি,১৯ মার্চ ২০২০