“হে মুহাম্মদ! আপনি বলে দিন, হে মানব জাতি!
আমি তোমাদের সকলের প্রতি আল্লাহর রাসূল!”
সূরা- আরাফ-১৫৮
আল্লাহ নিরাকার। তিনি কেমন হতে পারে বা পারতো, ওইরকম কল্পনা অমূলক, তার কোনো শুরু ও শেষ নেই।
আল্লাহ সকল জ্ঞানের উৎস, এতো এতো বিষয় সম্পর্কে জানেন, আমরা তা কল্পনাও করতে পারবো না, সময় কাল বছর তার কাছে শূন্য।
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, সৃষ্টির সব কিছু থেকে, তিনি যা সৃষ্টি করতে চান, ঠিক তাই হয়ে যায়, সৃষ্টির সব কিছু তার নিয়ন্ত্রণে, কোনো কিছুই তার দৃষ্টির বাইরে নয়, সৃষ্টির সব একটা নিয়মে কৌশলে চলে। আল্লাহর সৃষ্টিও সব সময় পরিবর্তন হয়। কোনো কিছু স্থায়ী নয়।
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ বানিয়েছেন, সু-কৌশলে হাড় অস্থি মজ্জা দিয়ে শরীর নির্মাণ করেছেন, শোভনীয় লোভনীয় দেখতে হাত পা চোখ মুখ, কি অদ্ভুতভাবে গড়েছেন।
আল্লাহ আমাদের স্বাধীন সত্তা দিয়েছেন, নিজের ইচ্ছায় চিন্তায় কাজ করার বৈশিষ্ট্যে গঠন করেছেন।
আহার নিন্দ্রা হাসি-কান্না মানুষের মৌলিক অনুভূতি, এখানে-ই মানুষ অসহায়, শিশুকাল-যৌবনে-বৃদ্ধবস্থায় কতো আশা-আকাঙ্খা স্বপ্ন ভাবনা কথা পরিবর্তন হয়।
আমরা এখন কথা বলতে দেখতে শুনতে অনুভব করতে শিখেছি। পৃথিবীতে ভূমিষ্ট হবার আগে, আমাদের এমন অনুভূতি ছিলো না। মৃত্যুর পর থাকবে না।
আল্লাহ এই ধরনীতে যা সৃষ্টি করেছেন, তাদের এমন অনুভূতি নেই যে, তারা আল্লাহ সম্পকে চিন্তা করতে পারে। একমাত্র ব্যতিক্রম হলো মানুষ। মানুষের উৎসুক মন আল্লাহকে জানতে চায়, মানুষ সত্য কি তা উদঘাটন করতে চায়।
আল্লাহ আমাদেরকে তার ইচ্ছে মতো গড়ে, কিছু সময়ের জন্যে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আমরা এখন উপলব্দি করতে পারি আমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে।
আল্লাহ লক্ষ্য-কোটি বছর আগে চন্দ্র, সূর্য গ্রহ নক্ষত্র সৃষ্টি করে, একাটার সাথে অপরটার সম্পর্ক গড়ে দিয়েছেন, আকাশ বাতাস পাহাড় সমুদ্র নদী গাছ তরুলতা দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করেছেন, যা দেখে মানুষের হৃদয় শীতল হয়, রঙবেরঙ ফল ফলাদী সবজি মাছ পাখি পশু সুখাদ্য , তা খেয়ে, পান করে আমরা পরিতৃপ্ত হই। আল্লাহ নর-নারী বানিয়ে আমাদের জীবন সঙ্গিনী করে দিয়েছেন। আমরা তাদের থেকে আনন্দ পাই। সুখ দুঃখে এক সঙ্গে থাকি।
অথচ, আমরাই সেই আল্লাহ সম্পর্কে সন্দেহে নিমজ্জিত হই।
আল্লাহ তো রাসূলের মাধ্যমে আমাদের কাছে সু-সংবাদ পৌঁছিয়াছেন। আমরা যেনো আল্লাহর আদেশ নিষেধ পালন করি। আর তার আনুগত্য হই।
আল্লাহর কোরআন, রাসূলের হাদিস সুন্নাত শুধু বিশ্বাসীদেরই কল্যাণ ও বিচার দিবসের মুক্তির পথ। আল্লাহর বিশ্বাসী বান্দাগণ পুনরুথানের পর বেহেস্তের কৌতূহল বিস্ময়কর সুবিন্যস্ত স্থানে চির যৌবন নিয়ে অনন্ত জীবন পরম আনন্দে থাকবে।
আল্লাহ অবিশ্বাসীদের জন্য দোযখে কঠিন আযাবের ব্যবস্থা করেছেন।
আল্লাহ বলেন, হ্যাঁ, যে ব্যক্তি মন্দ কাজে লিপ্ত হবে এবং মন্দ কাজের পাপজালে জড়িয়ে পড়বে, মূলত সেই জাহান্নামে অধিবাসী। তারা এখানেই চিরকাল অবস্থান করবে। সুরা বারাকা-৮১
লেখক : মো. হেলাল আহমেদ, মুঠোফোন : ০১৫৫৮৫৬৩১৬১
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৫:১০ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur