কচুয়া

আমি আপনার স্ত্রী হই কীভাবে,আপনি তো আমার চাচা অত:পর…

কচুয়ায় চাচা জাকির হোসেনের যৌন লালসার শিকার ভাতিজি। এ ভাতিজি তার বাড়ির আমির হোসেনের মেয়ে। ১৬ বছর বয়সি এ মেয়েটি কচুয়া উপজেলার জগতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী। তারা আশ্রাফপুর ইউনিয়নের মতুরাপুর গ্রামের মিয়াজীর বাড়ির বাসিন্দা।

জাকির হোসেন (৩৩) মেয়েটির সম্পর্কে সৎ চাচা। একই বাড়ির বাসিন্দা ও পাশাপাশি ঘর বিদায় জাকির হোসেন যখন তখনই ভাতিজির ঘরে আসা যাওয়া করতো। ভাতিজির সাথে কথা বার্তা বলার একপর্যায়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভাতিজির সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে ভাতিজি অন্ত:সত্ত্বা হয়।

অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার কয়েকমাস পর মেয়েটি ঢাকার টঙ্গীতে তার নানার বাড়িতে চলে যায়। সেখানে মাস খানেক পূর্বে ছেলে সন্তান প্রসব করে। সন্তান প্রসবের পর তাকে কুমিল্লা শহরের এক ব্যক্তির নিকট দত্তক দেয়া হয়। দত্তক গ্রহিতা সন্তানটি দত্তক বিষয়ে কাগজপত্র সম্পাদন করতে বলে।

এরই প্রেক্ষিতে গত ১৩ নভেম্বর মেয়েটি কুমিল্লার কুচিয়াতলী হাসপাতালের সামনে কাগজপত্র সম্পাদনের জন্য গেলে সন্তানটির জম্মদাতা পিতার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে মেয়েটি কৌশল করে জাকির হোসেনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে।

এ সময় জাকির হোসেন নিজেকে সন্তানটির পিতা ও সন্তানের মাকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করলে মেয়েটি বলে-আমি আপনার কীভাবে স্ত্রী হই, আপনি তো আমার চাচা।

এতে উপস্থিত লোকজন তাদের প্রতি সন্দেহ করে কুমিল্লার কোতায়ালী থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জাকির হোসেন ও মেয়েটিকে (সন্তানের মাকে) আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে আটক করার বিষয়টি কচুয়া থানাকে অবহিত করলে কচুয়া থানা পুলিশ কোতায়ালী থানা থেকে আটকৃতদের কচুয়া থানায় নিয়ে এসে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১/১৩) ধারায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১৪।

জাকির হোসেনকে মামলা দায়েরের পরে দিনেই কোর্টে সোপর্দ করার মধ্যে দিয়ে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মেয়েটির মা মোরশেদা বেগম সৌদি আরব প্রবাসী। তার দু’ই ভাই। বড় ভাই ব্যবসা কাজে ঢাকায় থাকেন। বাড়িতে থাকেন ১৩/১৪ বয়সী ছোট ভাই সোহাগ ও তার বাবা। চাচা-ভাতিজির এ দৈহিক সম্পর্কের ঘটনায় এলাকার জনমনে প্রচন্ড ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে।

করেসপন্ডেট,১৭ নভেম্বর ২০২০

Share