Home / জাতীয় / রাজনীতি / ‘কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, আন্দোলন শুরু করতে হবে’

‘কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, আন্দোলন শুরু করতে হবে’

দেশে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আজকে বাংলাদেশে নতুন করে আন্দোলন শুরু করতে হবে। যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একদিকে আমাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করব, স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব। অন্যদিকে আমরা আমাদের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র, অধিকারগুলোকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবো।’

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ভয়াবহ শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে আমরা বসবাস করছি। আমাদের কণ্ঠরোধ করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদেরকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। আমাদের সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। সম্মেলন করতে জায়গা দেওয়া হয় না। আর সেই অবস্থার মধ্যেই এগিয়ে যেতে হচ্ছে।’

‘আমাদের এগিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আমাদের অবশ্যই সেই অধিকারগুলোকে ফিরিয়ে আনতে হবে। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে পথ দেখিয়ে গেছেন সেই পথেই আমাদের এগোতে হবে। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে ফিরিয়ে আনতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন মহান ২১ ফেব্রুয়ারির আলোচনার দিনে আমরা শপথ গ্রহণ করি যেকোনো ত্যাগের বিনিময়ে অধিকারগুলোকে ফিরিয়ে আনব, গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে প্রতিষ্ঠা করবো, জনগণের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করবো।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুরোপুরি নির্বাসিত। যারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে তারাই গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। তারা অতীতেও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এ গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হবে। গণতন্ত্র ছাড়া কোনো উপায় নেই। আর গণতন্ত্র উদ্ধার করতে আন্দোলন ছাড়া কোনো পথ নেই।’

২১ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠান উৎসব ও কপটতায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকাল দেখা যায় নানা ধরনের পোশাক পরে বাজার করতে যায়, মেলায় যায়, আজকে অনেকেই জানেন না করা সেই দিন প্রাণ দিয়েছিল ভাষার জন্য। এটা কপটতা ছাড়া কিছু নয়।’
স্বাধীনতার মূল বীজটি একুশে ফেব্রুয়ারিতে বপন করা হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত। ভূলুণ্ঠিত গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

দেশে অলিখিত বাকশাল চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ থেকে মুক্ত হতে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হবে। দেশকে উচ্চ মর্যাদায় নিতে শপথ নিতে হবে। তাহলেই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা করা হবে।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল করেছিল। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই বিএনপির জন্ম হয়েছিল। রাজনীতি থেকে শুরু করে অবক্ষয় চলছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে সবাইকে শপথ নিতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান আসাদ প্রমুখ।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আহসান হাবিব দুলু, আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট ১১:৩১ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, সোমবার

ডিএইচ