আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস আজ

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০১:১৬ অপরাহ্ন, ০১ অক্টোবর ২০১৫, বৃহস্পতিবার

আজ ১ অক্টোবর। বিশ্ব প্রবীণ দিবস। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘নগর পরিবেশে প্রবীণদের অন্তর্ভুক্তি সুনিশ্চিত করুন’। ১৯৯০ সালে জাতিসংঘ প্রতিবছর ১ অক্টোবরে আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।

দিবসটি উপলক্ষে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ, জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সকাল ১১টায় সমাজসেবা অধিদফতর মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০১৫’ উদযাপিত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। এছাড়া সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ের প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তর পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র্যালি বরে হবে।

প্রবীণ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, বিশ্বব্যাপি মানুষের গড়আয়ু বেড়ে যাওয়ার ফলে সমাজে প্রবীণের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জীবনে বার্ধক্যের বাস্তবতাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।

আর্থসামাজিক অবস্থার কারণে অধিকাংশ প্রবীণ ব্যক্তি অবনতিশীল স্বাস্থ্য, আর্থিক দীনতা এবং সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন। তাই প্রবীণদের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি এবং কল্যাণমূলক সংগঠনগুলোকেও সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

রাষ্ট্রপতির বাণীতে উল্লেখ করা হয়, প্রবীণদের মৌলিক ও মানবিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে সরকার ৬০ বছর ও তদূর্ধ্ব নাগরিকদের ‘সিনিয়র সিটিজেন’ ঘোষণা করেছে। প্রবীণদের কল্যাণে সরকারিভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবীণ দিবস উপলক্ষে দেয়া তার বাণীতে বলেছেন, এবার প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরাও বলতে পারি, নগর পরিবেশে প্রবীণদের অন্তর্ভুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে তাদের অধিকার সুনিশ্চিত করাই আমাদের প্রত্যয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সরকার পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। প্রবীণ ব্যক্তিরা কর্মময় জীবনে অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দেশ গঠনে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রবীণদের জীবন সায়াহ্নে তাদের যথাযথভাবে দেখাশোনা এবং তাঁদের কল্যাণ বিধানে পদক্ষেপ গ্রহণ রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের অবশ্য কর্তব্য।

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫

Share