Home / লাইফস্টাইল / অভ্যাস ও রীতিনীতির উপর নির্ভর করে পরিবারের সুস্থতা
অভ্যাস ও রীতিনীতির উপর নির্ভর করে পরিবারের সুস্থতা

অভ্যাস ও রীতিনীতির উপর নির্ভর করে পরিবারের সুস্থতা

একজন মানুষের স্বাস্থ্য অনেকাংশেই তার পরিবারের অভ্যাস এবং রীতিনীতির ওপর নির্ভর করে। পরিবারের সার্বিক খাদ্যভ্যাস ভালো হলে মানুষটিরও সবসময় ভালো মানের খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে। পরিবারে অন্যদের ব্যায়ামের অভ্যাস থাকলে তারও এই অভ্যাস থাকবে।

উল্টোটাও ঘটতে পারে, পরিবারের থেকে আসা কিছু বদভ্যাসের কারণে হয়তো সারাজীবন তিনি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস মেনে চলছেন বা ব্যায়ামে অনীহা দেখাচ্ছেন এমন হতে পারে। Healthy Weight Commitment Foundation (HWCF) এর কতিপয় হেলথ এক্সপার্টের মতামত থেকে দেখে নিন সুস্থ পরিবার গড়ে তোলার কিছু অভ্যাস-

১) বাইরে খেলাধুলা করা
যে কোনও বয়সের মানুষের জন্যই ফিট থাকার একটি উপায় হলো শরীরচর্চা। বাচ্চাদের জন্য প্রতিদিন এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অন্তত সপ্তাহে চার দিন। বাচ্চাদের নিয়ে তাদের বাবা-মা বাড়ির আশেপাশেই হেঁটে আসতে পারেন বা সাইকেল চালাতে পারেন। শুধু যে এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে তাই নয়, এর পাশপাশি পরিবারের সবাই একসাথে সময় কাটাতেও পারেন। খেলার ছলে এই ব্যায়াম সাধারণ ব্যায়ামের চাইতে অনেক উপকারী।

২) সব সময়ে ফোন নয়
শুধু পরিবারের সাথে কিছু সময় কাটানো, এবং সেই সময়ে ফোন ব্যবহার না করাটা সুস্থ পরিবারের একটি অভ্যাস। শুধু ফোন নয়, এই সময়ে আইফোন, আইপড, আইপ্যাড, ল্যাপটপ, ট্যাব সবকিছুই দূরে রাখা হয়। সময় কাটানোর জন্য বই পড়া, একসাথে গল্প করা বা কোনো খেলা খেলে এই সময়টা কাটানো ভালো। পরিবারের সব ফোন একসাথে একটি জায়গায় চার্জ দেবার জন্য ঠিক করে রাখা ভালো। এতে সবাই রাত্রে চার্জ দিয়ে নিজের নিজের রুমে ঘুমাতে গেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে না।

৩) সবাই মিলে রান্না
একজন রান্নার সব কাজ করবে আর আরেকজন খাবে, এটা করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়। সবাই মিলে যদি হাত লাগায় তাহলে রান্নার কাজতা যেমন সহজ হয়ে উঠবে, তেমনি কম সময়ে কাজ হয়ে যাবে এবং খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে একটা ধারণা থাকবে বাচ্চাদের। বাচ্চাদের নিয়ে বাজার করতেও যেতে পারেন, এতে কোনটা ভালো কোনটা খারাপ এ ব্যাপারে তাদের একটা ধারণা তৈরি হয়ে যাবে।

৪) পুরো দিনের রুটিনের মূল ভিত্তি স্বাস্থ্য
মাঝে মাঝে স্বাস্থ্যকর খাওবার খাওয়া আর স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাকে অভ্যাসে পরিণত করার মাঝে বড় পার্থক্য আছে। সুস্থ পরিবারগুলো অন্য সব উদ্দেশ্যর চাইতে পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখার দিকেই বেশি মনোযোগ দেয় আর প্রাত্যহিক জীবন সাজানোর সময় সেটাকেই মূলমন্ত্র হিসেবে ধরে নেয়। একটু বেশি সময় পাওয়া গেলে সে সময়ে অস্বাস্থ্যকর কোনো কাজ না করে বরং স্বাস্থ্য ভালো রাখা যেমন পরিবার নিয়ে বাইরে খেলাধুলা করা বা পার্কে যাওয়াটাকেই তারা প্রাধান্য দেন।

৫) স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স
স্বাস্থ্যকর খাবার হাতের কাছে না থাকার কারণেই অনেক বাড়িতে বাচ্চাদেরকে চিপস বা চকলেট ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর খাবার রান্না করতে করতে দেখা যায় তাদের আর ক্ষুধা নেই। এ কারণে বাচ্চার আর স্বাস্থ্য ভালো হয় না। বিভিন্ন সবজি এবং ফল কেটে ফ্রিজে রেখে দিন যাতে ক্ষুধা লাগলে বাচ্চা এমনকি বড়রাও সাথে সাথেই খেয়ে নিতে পারে।

৬) পরিবার একসাথে সময় কাটায়
বিশেষ করে দিনের শেষে একসাথে তারা সময় কাটায়, রাতের খাবারটা একসাথে সারে। একে অপরের জীবনের ব্যাপারে জানে। এতে কারও কোনো অসুস্থতা থাকলে অন্যরা সহজে তা ধরতে পারে। খারাপ অভ্যাসগুলোও সহজে বের করা এবং বাদ দেওয়া সম্ভব হয়। এতে সবার মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।(প্রিয়ডটকম)

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৬:৩৪ পিএম, ২৫ জুলাই ২০১৬,সোমবার
কেএমআইজে

Leave a Reply