Home / ফিচার / অতিরিক্ত বিল ও লোডশেডিং থেকে বাঁচতে সৌর বিদ্যুতের বিকল্প নেই
solar shoro biddot
ফাইল ছবি

অতিরিক্ত বিল ও লোডশেডিং থেকে বাঁচতে সৌর বিদ্যুতের বিকল্প নেই

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। বিভিন্ন পর্যায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃিদ্ধর নানামুখি তৎপরতা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত কাঁচামালের অভাব এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠিকে প্রচলিত বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না ।

জনসংখ্যার ব্যাপক বৃদ্ধিতে জীবন যাত্রার মান আধুনিকায়নে দেশের উৎপাদিত বিদ্যুৎ গণমানুষের চাহিদাপূরণ সম্ভব নয়। শহর কেন্দ্রিক লোডশেডিং কিছুটা কম হলেও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের আলো এখন মানুষের নাগালের বাহিরে।

গ্রামে সন্ধ্যার সময় ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার মুহূর্ত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে হিমাগারে!

কুটির শিল্প বা পারিবারিক উদ্যোগে উৎপাদিত পণ্য তৈরিতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে পড়ছে ব্যাপক ভাটা।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮-১২ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহারে গুণতে হয় আকাশ ছোয়া মূল্য। বিদ্যুতের এতোই লোডশেডিং যে আইপিএসেও কাজে আসছে না।

আইপিএস ব্যবহারে অসুবিধা :

বিদ্যুৎ আসা মাত্রই আইপিএস ব্যাটারিকে চার্জ করে নিবে। যার অর্থ সাধারণত বিদ্যুৎ বিল যদি ৫শ’ টাকা হয় আইপিএস ব্যবহারের কারণে মাসিক বিদ্যুৎ বিল দ্বিগুণ গিয়ে দাঁড়াবে। একটি আইপিএস সর্বোচ্চ ২ বছর ভালোভাবে সার্ভিস দিয়ে থাকে। আইপিএস ক্রয় করতে ২০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন। প্রতি মাসে আইপিএস বাবদ ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৫ শ’ টাকা। সাথে আছে বিদ্যুৎ বিলের দ্বিগুণ চাপ।

অনেক সময় বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে বা লোডশেডিং এতো বেশি হয় যে বিদ্যুৎ না আসার কারণে আইপিএস কাজে আসে না। এতে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায়।

জেনারেটর অসুবিধা:

জেনারেটর একটি সাময়িক বিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্র। যা ডিজিলের মাধ্যমে চালিত অত্যাধিক ব্যয়বহুল বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি। যে সব অঞ্চলে বিদ্যুৎ নেই সে সব এলাকায় এটি দেখা যায়। আবার গ্রাহকের চাহিদার আলোকে যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ আছে সে সব জায়গায় বিদ্যুৎ লোডশেডিং এর সময় ব্যবহার হয়ে থাকে।

আসুবিধাসমূহ :
সন্ধার পর হতে সর্বোচ্চ রাত ১০টা পর্যন্ত সার্ভিস চালু থাকে। প্রায় সময় মেশিনারিজ সমস্যায় বন্ধ থাকে। রাতে বিশেষ প্রয়োজনে আর পাওয়া যায় না। প্রতিটি লাইটের বিপরীতে ২ শ’-৩ শ’ টাকা পরিশোধ করতে হয়। যে কোনো সময় বিনা নোটিশে সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়।

সৌর বিদ্যুৎ কি?
সূর্যের আলো আমাদের জন্য এক অফুরন্ত সম্পদ। সৌর সিস্টেমের মাধ্যমে সূর্যের আলো থেকে শক্তিগ্রহণ করে দেশের ৭.৫ কোটি বিদ্যুৎবিহীন গ্রামীণ জনপথকে সোলারের মাধ্যমে আলোকিত করা সম্ভব।

সৌর বিদ্যুৎ কেনো ব্যবহার করবেন-

স্বাধীন ও লোডশেডিং মুক্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। পরিবেশ দূষণ মুক্ত ও নিরাপদ রাখা যায়। কমপক্ষে নিশ্চিন্তে ২০ বছর ব্যবহার করা যায় । প্রয়োজনে স্থানান্তর করা যায়। সমস্যার সাথেই সমাধান এবং রিপ্লেসমেন্ট সিস্টেম। কেরোসিন হতেও অনেক কম খরছে আপনার বাসা-বাড়ি, খামার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং স্ট্রিট লাইটিং এর মাধ্যমে শহর থেকে গ্রাম অঞ্চলের রাস্তাঘাট আলোকিত করে নিরাপদ রাখা যায়।

সৌর বিদ্যুৎ থেকে সোলার ইনভার্টরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আপনার নিত্য ব্যবহারক বৈদ্যুতিক পণ্য যেমন- টিভি, ফ্রিজ, সিলিংফ্যান, স্ট্যান্ডফ্যান, টেবিলফ্যান, এনার্জিলাইট, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, সিডি প্লেয়ার, ব্যালান্ডার, সেচ পাম্প, ছাদের ওপর ট্যাংকিতে পানি উঠানোসহ কিলোওয়াট পর্যায়ে এসি বিদ্যুতের সোলার সিস্টেম স্থাপন করে এখন সব কিছুই সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়।

লেখক-সামছুদ্দিন মাহমুদ
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩: ৪০ এএম, ০৮ মার্চ ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ

Leave a Reply