Home / সারাদেশ / বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
launch
ফাইল ছবি

বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা

বৈরী আবহাওয়ার কারণে সদরঘাট থেকে তিন রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। রুটগুলো হল-হাতিয়া, বেতাকি ও রাঙাবালি।

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাত থেকে মাওয়ায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে চলা ১৬ ফেরির মধ্যে ১০টি বন্ধ রেখেছে নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের মো. আবু জাফর হাওলাদার।

জানা গেছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সকাল থেকে ছোট লঞ্চগুলোর চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। দুপুর থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে।

নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

তাই উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, উপকূলীয় উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সকাল ৬টায় নিম্নচাপ হিসেবে উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল বলে আবহাওয়া অফিস জানায়। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে এবং গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শাহ নেওয়াজ খালেদ জানান, বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়ায় নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে পদ্মা উত্তাল হতে শুরু করলে বেলা পৌনে ১২টার দিকে সম্পূর্ণভাবে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ডাম্পফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, বাতাস আর স্রোত ক্রমেই বাড়ছে। বিকেল পর্যন্ত কোনো রকমে ফেরি চালালেও এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে উভয় পারে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা।

মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ সরোজিৎ কুমার ঘোষ জানান, শুক্রবার সকাল থেকে আকাশের অবস্থা খারাপ হতে থাকে এবং নদীতে বড়-বড় ঢেউ সৃষ্টি হতে থাকে। বিআইডব্লিউটিসির কর্তৃপক্ষ ছয়টি ফেরি সচল রেখে অপর ফেরিগুলো বন্ধ করে দেয়। এ কারণে ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে পাঁচশতাধিক যান। ঘাটে যাত্রী নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে। কোনো রকম বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সে ব্যাপরে পুলিশ সর্তক রয়েছে।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ৮ : ৩০ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৭ শুক্রবার
এইউ

Leave a Reply