Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / চাঁদপুররের ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের ইতিবৃত্ত
চাঁদপুররের ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের ইতিবৃত্ত

চাঁদপুররের ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের ইতিবৃত্ত

শতাব্দীর প্রাচীন চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ-এর মনোমুগ্ধকার নির্মাণ শৈলী আজও অনবদ্যতায় ভাস্বর। এর প্রতিটি নির্মাণ শৈলীতে বিকশিত স্থাপত্য সৌকর্যের বিশুদ্ধ ব্যাকরণ। এটি জেলার সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী একটি মসজিদ।

ঐতিহাসিক সূত্রে, ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ১৭ আশ্বিন মাওলানা আবুল ফারাহ জৈনপুরী (র.) এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। মসজিদের মেহরাবটি কাঁচের ঝাড়ের টুকরো দিয়ে খচিত।

সুরা ইয়াসিন ও সুরা জুমা আরবি অক্ষরে চক্রাকারে লেখা আছে মসজিদের ভেতরের দেয়ালের প্রথম অংশে। ১শ’ ২২ ফুট উঁচু মিনারটি বসানো হয়েছে ৪টি পিলারের ওপর।

১শ’ ১৮ ফুট উচ্চতায় ফানুসের মত একটি টপ ও দু’হাত গোলাকার প্লাটফর্ম আছে। শুক্রবারের খুতবা পাঠের স্থানটি মুল্যবান পাথর ও টাইলসে সজ্জিত। মিনার ও মসজিদের ওপর রয়েছে তারকা খচিত ৩টি গম্বুজ।

প্রতিদিন ৮টি মাইক দিয়ে আজান প্রচার করা হয়। যার আওয়াজ হাজীগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, পাশ্ববর্তী উপজেলার মানুষজনও শুনতে পায়। হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের মোট আয়তন ২৮ হাজার ৪শ’ ৫৫ বর্গফুট। মহিলাদের জন্য এ মসজিদে পৃথক নামাজের স্থান রয়েছে। জুমাতুল বিদার নামাজ পড়ার জন্য সমাগম ঘটে হাজার হাজার মানুষের।

আহমাদিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. মহিবুল্লাহ আজাদ জানালেন, ‘ঐতিহাসিক এ মসজিদে প্রথম একচালা ঘরের এবাদতখানা ছিল। পরে টিনের দোচালা। প্রথম জুমার আজান হয় ১৩৪৪ সনের ১০ অগ্রহায়ণ।’

তিনি আরো জানান, ‘প্রথম জুমায় উপস্থিত ছিলেন অভিভক্ত বাংলার তৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী একেএম ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, নওয়াব মোশারফ হোসেন ও নওয়াবজাদা খাজা নসরুল্লাহ। ওই নামাজের ইমামতি করেন পীরে কামেল আলহাজ্ব মাওলানা আবুল বাশার জৈনপুরী (র.)।;

মসজিদটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পরিচালিত হচ্ছে নিয়ত-মানতের টাকায়।

গঠন করা হয়েছে আহমদ আলী পাটওয়ারী ওয়াকফ এস্টেট। স্থায়ী আয়ের উৎস হিসেবে ০.৬ একর সম্পত্তি ও ১২১টি দোকান ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মসজিদ কেন্দ্রিক ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়েছে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক মসজিদ কমপ্লেক্স।

এর মোতায়াল্লী, মহাপরিচালক হচ্ছেন প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়াকিফ আহমদ আলী পাটওয়ারী (রা.) এর প্রপৌত্র ড. মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারী। প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত কোন সরকারি সহযোগিতা পায়নি। বরং প্রতি বছর সরকারকে লক্ষাধিক টাকা ওয়াকফ খাতে দিতে হয়।

বর্তমানে মসজিদের সংস্কার চলছে। বাকি কাজ সম্পন্ন করতে আরো প্রয়োজন ১০/১২ কোটি টাকা। দেশী-বিদেশী ধর্নাঢ্য ব্যাক্তিদের এগিয়ে আসতে আহবান জানিয়েছেন মোতাওয়াল্লী অধ্যক্ষ ড. মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারী।

নিউজ এডিটর ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৪০ এএম, ২২ আগস্ট ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ

Leave a Reply