Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / সমিতির সঞ্চয়ের টাকা চাওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধর
সমিতির সঞ্চয়ের টাকা চাওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধর

সমিতির সঞ্চয়ের টাকা চাওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধর

চাঁদপুরের চান্দ্রা প্রভাতী সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নামে এমরান হোসেন সুমন কর্তৃক গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত এমরান হোসেন সুমন গ্রাহকদের কাছ থেকে সমিতির শেয়ার, সঞ্চয় ও আমানতের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  সঞ্চয়  রাখা কষ্টের টাকা চাইতে গেলে গ্রাহকদেরকে হামলা, হুমকি ও বিভিন্নভাবে প্রতারিত  করা হচ্ছে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সমিতির  নাজমা  বেগম (৩৮) নামে এক নারী গ্রাহক চাঁদপুর সবুজ ছাতা’র স্বাস্থ্যকর্মীকে (প্যারামেডিক) চাওয়ায় তাকে পিটিয়ে আহত করেছে। আহত নাজমা বেগম বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ফরিদগেঞ্জের চান্দ্র ইউনিয়নয়নে সকদি রামপুরের প্রবাসী আবুল হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম শহরের মিশন রোড়ের সবুজ ছাতা’র একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তার স্বামী প্রবাসী আবুল হোসেন ৫ জুন ২০১১ তারিখে ‘চান্দ্রা প্রভাতী সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনে’ এককালীন আমনত হিসেবে ১ লাখ টাকা জমা রাখেন। এরপর সমিতির মালিক  মদনেরগাঁও গ্রামের সেলিম খানে পুত্র এমরান হোসেন সুমন ও তার সহযোগী আব্বাস ও আক্কাসের সহযোগিতায় প্রতারণার ফাঁদ পাতেন ।

এরপর একে একে তিনি সঞ্চয়, আমানত, ও শেয়ার বাবদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা রাখেন। পরে তাদের টাকার প্রয়োজন দেখা দিয়ে তিনি টাকার জন্যে আবেদন করেন।

এতে এমরান হোসেন সুমন ১৭-১০-২০১৫ তারিখে সমিতির একটি পেডে টাকা পরিশোধ করার অঙ্গীকার করেন। অথচ আজ পর্যন্ত তিনি ওই টাকা পরিশোধ করেনি। টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েও সে নাজমা বেগমের সাথে প্রতারণা শুরু করে। বেশ ক’বার ভুয়া চেক দিয়েছেন। যা ব্যাংক ফেরৎ দিয়েছে। এ বিষয়ে সুবিচার চেয়ে নাজমা বেগম চাঁদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

পরে জেলা গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে অভিযুক্ত এমনরান হোসেন সুমন ও তার সহযোগীদের গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু তাদের কেউ হাজির হননি।

এদিকে (১৮ অক্টোবর) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই বাহারসহ সংঙ্গীয় ফোর্স সুমনের গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে  সুমনের মোবাইল ফোনে একাধিক ফোন দিলেও তার হদিস না পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ নাজমাকে সেখানে রেখে আব্বাসের বাড়িতে চলে যান। এ সুযোগে নাজমা বেগমকে কে বা কারা পেছন থেকে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়।

নাজমা বেগম জানায় , পেছন থেকে আমাকে মারায় তিনি  কাউকে চিনতে পারেননি। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি কামনা করেছেন।

প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ ৯ : ৩০ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭ বৃহস্পতিবার
এইউ

Leave a Reply