কচুয়া

চাঁদপুরের তিন উপজেলায় পৃথক ঘটনায় দু’গৃহবধূ ও যুবকের আত্মহত্যা

চাঁদপুরের তিন উপজেলায় সোমবার (৬ মে) পৃথক ঘটনায় তিন নারী-পুরুষ তথা দু’গৃহবধু ও যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

এদিন দুপুরে কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের আশ্রাফপুর নিলাম বাড়িতে গৃহবধু মারজাহান (২৫) আত্মহত্যা করে। সে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বামীর দাবী। তাকে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তবে ওই গৃহবধুর চাচা বাবুল মিয়া জানান, এটি রহস্যজনক মৃত্যু। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। ছয়মাস পূর্বে বিয়ে হয় মারজাহানের। তারপর থেকে যৌতুকের দাবি করে আসছে স্বামী সুমন ও তার পরিবার। মারজাহানের বাবা জহির দারিদ্র হওয়া যৌতুক দিতে পারেনি।

শাহরাস্তি থানা উপ-পরিদর্শক কুতুব উদ্দিন বলেন, এটি রহস্যজনক মৃত্যু। ময়নাতদন্ত করা হলে বলা যাবে এটি খুন নাকি আত্মহত্যা।

এদিকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফনিশাইর গ্রামের সর্দার বাড়ীতে স্বামীর পরকীয়া ও শ্বশুরবাড়ীর নির্যাতন সইতে না পেরে আঁখি আক্তার (২৫) আত্মহত্যা করে। ঘটনাস্থল তার বাপের বাড়ি। আঁখি শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের আজাগরা গ্রামে আমানত শাহর স্ত্রী।

সোমবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আঁখির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬ মাস পূর্বে তাদের বিয়ে হয়। গত সপ্তাহে স্বামী তার উপর শারিরিক নির্যাতন চালায়। এতে অভিমান করে বাবার বাড়ীতে চলে যায় আঁখি। বিয়ের পর থেকেই আঁখির উপর স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন নির্যাতন চালিয়ে আসছে।

বিয়ের দুইমাস পর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি বৈঠকের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ সুরাহ হয়। তারপরও সুখকর হয়ে উঠেনি আঁখির সংসার।

আঁখি আক্তারের চাচা তানভীর হোসেন বলেন, রোববার আঁখি আত্মহত্যা করে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে রাতে মৃতদেহ হস্তান্তর করে। বিয়ের পর থেকে আঁখি পুলিশ সুপার ও চাঁদপুর আদালতে অভিযোগ করেছে। তার স্বামী বড় ভাইয়ের স্ত্রী (ভাবী) সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগগুলোতে উল্লেখ্য করা হয়।

অন্যদিকে হাজীগঞ্জ পৌরসভার আড়াখাল গ্রামে স্ত্রী ও পরিবারের হাতে পরকীয়ার ছবি প্রকাশ পাওয়াকে কেন্দ্র করে আত্মহত্যা করেছে এক সন্তানের জনক রবিউল আলম (২৬)। সোমবার সকালে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।

সে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড আড়াখাল বাচ্চু মিয়ার ছেলে। শনিবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেচে নেয় রবিউল। পরে পরিবারের লোকজন তাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ওইখানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে মারা যান। রবিউল আলমের স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে।

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ মে ২০১৯

Share